খুলেছে বশেমুরবিপ্রবি, চাহিদা অনুযায়ী সহযোগিতা পায়নি হল প্রশাসন

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ছবি

প্রায় ১৮ মাস পর আজ থেকে চতুর্থ বর্ষ এবং মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসিক হলসমূহ খুলে দিয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি)। আর ২০ অক্টোবর থেকে সকল শিক্ষার্থীরা হলে থাকতে পারবেন।

শিক্ষার্থীদের হলে রাখতে ইতোমধ্যে বেশ কিছু প্রস্তুতিমূলক কাজ শেষ করেছে হলগুলো। তবে হল প্রভোস্টদের দাবি, এক্ষেত্রে চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সহযোগিতা পাননি তারা।

বশেমুরবিপ্রবি হল প্রোভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি ও শেখ রেহানা হলের প্রোভোস্ট মো: রোকনুজ্জামান বলেন, আমরা কিছদিন পূর্বে প্রভোস্ট কাউন্সিলের পক্ষ থেকে উপাচার্য বরাবর লিখিত কিছু দাবি জানিয়েছিলাম। যার মধ্যে ছিলো- প্রতিটি হলে অস্থায়ী বেসিন স্থাপন করা, একজন করে নিরাপত্তারক্ষী, স্বাস্থ্যসেবা সহায়ক, অতিরিক্ত ক্লিনার ও ঝাড়ুদার প্রদান করা এবং ডাইনিংয়ে দুজন করে সহায়ক প্রদান করা। এছাড়া ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রতিটি হলে একটি করে ফগার মেশিনও চেয়েছিলাম আমরা।

কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো এখন পর্যন্ত অস্থায়ী বেসিন ছাড়া আর কিছুই পাইনি, বলেন তিনি।

প্রয়োজনীয় সহায়তা না পাওয়ার একই কথা জানালেন হল প্রভোস্ট কাউন্সিলের সদস্য সচিব শেখ মো: ফায়েকুজ্জামান মিয়াও।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল হলের প্রভোস্ট ফায়েকুজ্জামান মিয়া বলেন, আমরা আমাদের পক্ষ থেকে যতটুকু সম্ভব করেছি। শিক্ষার্থীদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে আমরা আরও কিছু বিষয় প্রশাসনের নিকট দাবি করেছিলাম। উপাচার্য ওই সময়ে আমাদের সবকিছু দেয়ার আশ্বাসও দিয়েছিলেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো উপাচার্যের এই কথার বাস্তবায়ন দেখতে পাচ্ছি না।

এসময় গণরুমের বিষয়ে জানতে চাইলে এই হল প্রভোস্ট জানান, অন্যত্র স্থানান্তর নয়, বরং ধীরে ধীরে গণরুমে শিক্ষার্থী সংখ্যা কমানোর মধ্য দিয়ে তারা গণরুম বিলুপ্ত করার পরিকল্পনা নিয়েছেন।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের হলের অন্য রুমে স্থানান্তরের মাধ্যমে গণরুমে শিক্ষার্থী সংখ্যা কমানোর পরিকল্পনা করেছি। ইতোমধ্যে আমি আমার হলের তিনটি রুম প্রস্তুত করেছি। এছাড়া অন্যান্য হলগুলোও তাদের মতো করে ব্যবস্থা নিচ্ছে। আমাদের পরিকল্পনা ধীরে ধীরে গণরুম বিলুপ্ত করা।

গণরুমের শিক্ষার্থীদের টিনশেডে স্থানান্তরের বিরোধীতা করে প্রভোস্ট ফায়েকুজ্জামান মিয়া বলেন, ইতোপূর্বে সংবাদমাধ্যমে আমরা দেখেছি যে, উপাচার্য বলেছেন, গণরুমের শিক্ষার্থীদের টিনশেডে স্থানান্তর করা হতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক এবং হল প্রভোস্ট হিসেবে আমি এই সিদ্ধান্তের পক্ষে নই।

এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, টিনশেডগুলোর পরিবেশ স্বাস্থ্যকর নয়। পর্যাপ্ত ওয়াশরুমও নেই। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নত আবাসন সুবিধা পাওয়া শিক্ষার্থীদের অধিকার। তাই শিক্ষার্থীদের টিনশেডে স্থানান্তরের চিন্তাকে আমি সমর্থন করতে পারছি না।

হল প্রশাসনকে অসহেযাগিতার অভিযোগের বিষয়ে জানতে কথা বলার জন্য উপাচার্য ড. একিউএম মাহবুবের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মন্তব্য পাওয়া যায়নি।


সর্বশেষ সংবাদ