বুয়েটে চলমান আন্দোলনের প্রভাব ভর্তি পরীক্ষায় পড়েনি: উপাচার্য
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৪ অক্টোবর ২০১৯, ০১:২৬ PM , আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০১৯, ০১:২৬ PM
আবরা ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের পর শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের প্রভাব ভর্তি পরীক্ষায় পড়েনি বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, ৯০ ভাগ আবেদনকারী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
এসময় বুয়েটের হলে হলে অবৈধ শিক্ষার্থী উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা যেকোনো প্রয়োজনে আমার সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন। আশা করি, তারা আমাদের সহযোগিতা করবেন। কারণ তাদের দাবির বিষয়ে আমরা একমত।’
আজ সোমবার বুয়েট ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।বুয়েটের চলমান সঙ্কট নিরসনে কয়েকটি কমিটি করা হয়েছে জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দাবি আমরা মেনে নিয়েছি। যে সমস্যা রয়েছে আমরা সেগুলো সমাধানে বেশ কয়েকটি কমিটি করেছি। আশা করি, দ্রুতই সঙ্কট নিরসন হবে।’
এ সময় উপাচার্যের কাছে অভিভাবকরা আবরার হত্যার বিচার চান। জবাবে তিনি বলেন, ‘এই হত্যাকাণ্ডের বিচারে আমরা আন্তরিক। সরকারও বিচারের বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে। তাই আশা করি, সুষ্ঠু বিচার হবে।’
এ বছর ভর্তির জন্য ১৬ হাজার ২৮৮টি আবেদন পড়েছিল। তার মধ্যে থেকে ১২ হাজার ১৬১ শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন। এর মধ্যে আট হাজার ৮৯৬ জন ছাত্র ও তিন হাজার ২৬৫ জন ছাত্রী।
ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণের মাধ্যমে মেধা অনুযায়ী ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবেন এক হাজার ৬০ জন। এরমধ্যে এক হাজার পাঁচ জন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ও ৫৫ জন আর্কিটেকচার বিভাগে ভর্তি হতে পারবেন।
আজ সোমবার (১৪ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে ১২ পর্যন্ত প্রথম ধাপে ইঞ্জিনিয়ারিং ও আর্কিটেকচার বিভাগের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া ২টা থেকে ৪টা পর্যন্ত আর্কিটেকচারের ড্রয়িং পরীক্ষা হবে। পরীক্ষার ১২ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ করা হবে।
গত ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শের-ই-বাংলা হলে তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ ১৯ জনকে আসামি করে মামলা করেন আবরারের বাবা।
ভর্তি পরীক্ষার কয়েক দিন আগে আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা। পরে ভর্তি পরীক্ষার কথা বিবেচনা করে দুদিনের জন্য আন্দোলন শিথিল করা হয়।
শিক্ষার্থীরা ১০ দফা দাবিতে লাগাতার আন্দোলন অব্যাহত রাখেন। তাদের দাবি মানা না হলেও ভর্তি পরীক্ষা হতে দেয়া হবে না বলেও জানান আন্দোলনকারীরা। একপর্যায়ে বুয়েট কর্তৃপক্ষ তাদের দাবি-দাওয়া মেনে নিলে ১৩ ও ১৪ অক্টোবর আন্দোলন শিথিল করেন তারা।