জাবিপ্রবিতে ‘ফ্যাসিবাদী অনুশাসন’ বাতিলের দাবিতে তিন সিন্ডিকেট সদস্যের ঐক্যবদ্ধ কর্মসূচি

জাবিপ্রবি-তে ফ্যাসিবাদী অনুশাসন বাতিলের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন
জাবিপ্রবি-তে ফ্যাসিবাদী অনুশাসন বাতিলের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন  © টিডিসি ফটো

জামালপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবিপ্রবি) কথিত ‘ফ্যাসিবাদী অনুশাসন’ বাতিলের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন বর্তমান ও সাবেক তিন সিন্ডিকেট সদস্য। বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ কর্মসূচি শুরু হয়।

অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন বর্তমান সিন্ডিকেট সদস্য ও গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মুহম্মদ শাহজালা, সাবেক সিন্ডিকেট সদস্য ও সমাজকর্ম বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান এবং কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মাহমুদুল আলম। কর্মসূচিতে একাত্মতা প্রকাশ করে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সাধারণ শিক্ষার্থীরাও যোগ দেন।

অবস্থানের সময় তাদের সামনে রাখা প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল— ‘ফ্যাসিবাদ শেখ হাসিনার অনুশাসন বাতিল চাই’, ‘জুলাই শহীদদের সম্মান চাই‘ ইত্যাদি স্লোগান। এছাড়া, “ফ্যাসিবাদ সরকারের অনুশাসনে প্রমোশন পাচ্ছেন আত্তীকৃত শিক্ষকরা” শিরোনামে একটি বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ বিভাগের ৭ জন শিক্ষককে ‘যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা ছাড়াই’ প্রমোশন দেওয়া হয়েছে শুধুমাত্র রাজনৈতিক আনুগত্যের কারণে।

আরও পড়ুন: উদ্বোধনেই শেষ গবেষণায় চৌর্যবৃত্তি শনাক্তে ঢাবির সফটওয়্যার

বক্তারা বলেন, ‘২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের রক্তের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আজ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শেখ হাসিনা পরিবারের নাম অপসারণ করা হচ্ছে। অথচ জাবিপ্রবিতে ঠিক তার উল্টো চিত্র— এখানে আত্তীকৃত শিক্ষকরা ফ্যাসিবাদী শাসনের পৃষ্ঠপোষকতায় পুরস্কৃত হচ্ছেন।’

তারা আরও জানান, এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অবহিত করার চেষ্টা করেও সাড়া মেলেনি। কেউ কেউ ইতিমধ্যে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও ভাবছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক ও কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি প্রদানের প্রস্তুতি চলছে।

অবস্থান কর্মসূচির প্রায় দুই ঘণ্টা পর সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রোকনুজ্জামান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হন। তার কিছুক্ষণ পর উপস্থিত হন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সিন্ডিকেট সদস্যদের সঙ্গে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আলোচনা চলছিল।


সর্বশেষ সংবাদ