বাসে পবিপ্রবি অধ্যাপক লাঞ্ছিত—‘তোদের মেরে ফেললেও কিছুই করতে পারবি না’, শিক্ষার্থীদের হুমকি হেলপারের
- পবিপ্রবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:২০ AM , আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৩১ AM
কুয়াকাটা থেকে ঢাকাগামী ইউনিক পরিবহনের একটি বাসে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) এক অধ্যাপককে লাঞ্ছিত এবং কয়েকজন শিক্ষার্থীকে মারধর করে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে চালক ও হেলপারের বিরুদ্ধে। ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। শিক্ষার্থীরা একটি বাসও আটকে রেখেছেন।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে যাত্রা শুরুর পর থেকে বাসের (ঢাকা মেট্রো-ব ১৪-৮৭৭৫) চালক মো. জসিম বেপরোয়া ও ঝুঁকিপূর্ণভাবে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। যাত্রীরা বারবার আপত্তি জানালেও তিনি তা উপেক্ষা করেন। বেলা দেড়টার দিকে গোপালগঞ্জের বড়ইতলা এলাকায় যাত্রীদের সঙ্গে চালকের বাকবিতণ্ডা হলে পবিপ্রবির অধ্যাপক আসাদুজ্জামান প্রতিবাদ করেন। এ সময় ক্ষিপ্ত হয়ে চালক তার ওপর চড়াও হয়ে মারধরের চেষ্টা করেন।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মুহিব, সাগর ও আরিফ প্রতিবাদ জানালে হেলপার শাকিল তাদেরকে ‘মেরে ফেলার’ হুমকি দেন এবং অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন। যাত্রীদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি সাময়িকভাবে শান্ত হয়। পরে ভাঙ্গা পৌঁছে অধ্যাপক আসাদুজ্জামান বাস থেকে নেমে যান।
ঢাকার সায়দাবাদ এলাকায় পৌঁছে ফের উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। শিক্ষার্থীরা নামতে চাইলে হেলপার শাকিল তাদের লাঠি নিয়ে মারতে উদ্যত হন এবং টিটিপাড়া এলাকায় নিয়ে গিয়ে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘তোদের মেরে ফেললেও আমাদের কিছুই করতে পারবি না।’
ঘটনার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে ক্যাম্পাসে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। খবর ছড়িয়ে পড়তেই উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা পাগলা মোড়ে ইউনিক পরিবহনের একটি বাস আটকে রাখেন। তাঁদের দাবি, চালক-হেলপারসহ মালিকপক্ষ ঘটনাস্থলে এসে দুঃখ প্রকাশ ও দায়ীদের শাস্তির নিশ্চয়তা না দেওয়া পর্যন্ত তাঁরা বাস ছাড়বেন না।
আরও পড়ুন: ‘তালা দিবা, হাতাহাতি করবা, আবার রাকসু নির্বাচন চাইবা—মামার বাড়ির আবদার?’
অধ্যাপক আসাদুজ্জামান মিয়া অভিযোগ করে বলেন, ‘আমি চালককে নিয়ন্ত্রণে রেখে ধীরে গাড়ি চালাতে বলি। কিন্তু সে আমার কথায় ক্ষিপ্ত হয়ে আমার দিকে তেড়ে আসে এবং আমাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল করে। এমনকি দেখে নেওয়ার হুমকিও দেয়। পরে যাত্রীদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয় এবং আমি ভাঙ্গায় নেমে যাই।’
এ বিষয়ে ইউনিক পরিবহনের জেনারেল ম্যানেজার এম এ মিন্টু বলেন, ‘চালক জসিমের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করে মালিকপক্ষ সমস্যার সমাধানে উদ্যোগ নেবে। এমন ঘটনা ইউনিক পরিবহন পরিবার কখনও সমর্থন করে না।’