শিক্ষার্থী তোলাকে কেন্দ্র করে হল সুপারকে দেখে নেওয়ার হুমকি ছাত্রদল নেতার
- হাবিপ্রবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২১ আগস্ট ২০২৫, ০৮:১৯ PM , আপডেট: ২২ আগস্ট ২০২৫, ০৮:১০ AM
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান হলে শিক্ষার্থী তোলাকে কেন্দ্র করে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ উঠেছে। হল সুপার প্রফেসর ড. আবু খায়ের মো. মুক্তাদিরুল বারী অভিযোগ করেন, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্য নাজমুল ইসলাম ইমন তাকে ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকি দিয়েছেন।
এছাড়া হলের ফাঁকা রুমে নতুন শিক্ষার্থী তোলা নিয়েও বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ছাত্রদলে যুক্ত এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক মুখ্য সংগঠক সুজন ইসলাম ফাঁকা সিটে শিক্ষার্থী তোলার ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করেছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, বুধবার (২০ আগষ্ট) রুম পরিবর্তনের আবেদনের প্রেক্ষিতে হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মো. আসাদ ইকবালকে সুজন ইসলামের রুমে অর্থাৎ ২৩৭ নাম্বার রুমে এলোটমেন্ট প্রদান করে। এলোটমেন্ট অনুযায়ী আসাদ ইসলাম ২৩৭ নম্বর রুমে উঠতে গেলে সুজন ইসলাম বাধা প্রদান করার অভিযোগে উঠে। পরবর্তীতে হল সুপার প্রফেসর ড. আবু খায়ের মো. মুক্তাদিরুল বারী ঘটনা স্থলে গেলে সুজন ইসলাম, ছাত্রদল নেতা নাজমুল হাসান ইমন, শামীম আফশারীসহ বেশ ছাত্রদল কর্মীদের সাথে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে সুজন ইসলাম আসাদ ইকবালকে রুমে উঠতে না দিয়ে তালা দিয়ে দলবল নিয়ে হল ত্যাগ করে।
এ বিষয়ে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান হলের হল সুপার বলেন, আমি আবেদনের ভিত্তিতে পারিবারিক অবস্থা বিবেচনা করে সিনিয়রিটির ভিত্তিতে হলের অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের সিট দেওয়ার চেষ্টা করেছি। একই পদ্ধতিতে সুজন ইসলামের রুমে সিট ফাঁকা জেনে শিক্ষার্থীকে এলোটমেন্ট দিলে সেই শিক্ষার্থীকে রুমে ঢুকতে বাধা প্রদান করে যা হলের শৃংখলার পরিপন্থী। এছাড়াও ছাত্রদল কর্মীদের ডেকে এনে আমার সাথে উচ্চবাচ্য ও দুর্ব্যবহার করে এক পর্যায়ে আমার নিষেধ সত্ত্বেও রুমে তালা লাগিয়ে হল ত্যাগ করে। এসময় ছাত্রদল নেতা ইমন আমাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয় এবং পারলে তালা ভেঙে শিক্ষার্থী উঠানোর চ্যালেঞ্জ করে যায়। হল সুন্দরভাবে চালানোর জন্য আবাসিক শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা প্রয়োজন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা নাজমুল ইসলাম ইমন বলেন, ‘আমি কাউকে হুমকি দেয়নি। কেউ যদি বানোয়াট কথা বলে, তাহলে তো আমার করার কিছু নেই।’
হাবিপ্রবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক বার্নাড দাস পলাশ বলেন, ‘হলের সিটগুলো নিয়েও আগেও ঝামেলা হয়েছে। অবশ্যই কেউ অসদাচরণ করতে পারে না। সেটা ছাত্র বা শিক্ষক যে কেউ হোক। বাধা দেওয়া অপরাধ। কিন্তু ছাত্রদলের কর্মী ব্যাপারে যে অভিযোগ, অভিযোগগুলো অমূলক। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে কথা বলেছি, বিষয়টি সমাধানের পথে।’
এদিকে হল প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই অবৈধ ভাবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানার লাগিয়ে রুম দখলের অভিযোগে রয়েছে মো. সুজন ইসলামের নামে। এ বিষয়ে সুজন ইসলাম উল্টো অভিযোগ করে বলেন উনি (হল সুপার) হলে অবৈধ ভাবে ছেলে তুলছিলেন আমি বাঁধা দিয়েছি এটাই।