মেরিটাইমে মৎস্য অধিদপ্তরের ৩৯৫ পদের অর্গানোগ্রাম বাস্তবায়নে মানববন্ধন
- মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৫ মে ২০২৫, ০৪:৪৭ PM , আপডেট: ২২ জুন ২০২৫, ০২:৪৮ PM
মৎস্য অধিদপ্তরের ৩৯৫ পদের অর্গানোগ্রাম বাস্তবায়নে বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির মেরিন ফিশারিজ অ্যান্ড অ্যাকুয়াকালচার বিভাগের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেছে। ২০১৫ সালে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন মৎস্য অধিদপ্তর ‘মৎস্য সম্প্রসারণ ও মাননিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা’ ৩৯৫টি নতুন পদ সৃষ্টি ও অর্গানোগ্রাম সংশোধনের প্রস্তাবনা উত্থাপন করে। কিন্তু ১০ বছর পরেও এটি বাস্তবায়ন না হওয়ায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিশারিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেন।
আজ সোমবার দুপুর ১২টা থেকে বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির পদ্মা ভবনের সামনে ফিশারিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে থাকে। এ সময় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড হাতে স্লোগান দেয়। এ ছাড়া বিভাগটির শিক্ষকরাও মানববন্ধনে অংশ নেন।
মানববন্ধনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পদ্মা ভবন অতিক্রম করে মেঘনা ভবনের সামনে এসে থামে। এ সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, এই সার্কুলার আমাদের অধিকার। গত ১০ বছরে এটি বাস্তবায়ন না হওয়ায় ফিশারিজের দক্ষ গ্র্যাজুয়েটরা তাদের যোগ্য যায়গায় যেতে পারছে না। তাই এ সার্কুলার দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।
আরও পড়ুন: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে একদল জুনিয়রকে ছাদে নিয়ে ৫ ঘণ্টা ধরে র্যাগিং
মানববন্ধনে বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির মেরিন ফিশারিজ অ্যান্ড অ্যাকুয়াকালচার বিভাগের প্রভাষক জান্নাতুল নাইমা বলেন, ‘ফিশারিজে ক্যাডারের সংখ্যা অন্যান্য ক্যাডারের তুলনায় অনেক কম। যখন আমরা মাঠ পর্যায়ে যেমন ফিশারিজ কর্মকর্তা অথবা বিভিন্ন অ্যাকুয়াকালচার সাইটে যাই সেখানে দেখি কিছু কিছু জায়গায় রিক্রুটমেন্টের সুযোগ আছে। কিন্তু সেই জায়গা গুলো ব্লক হয়ে আছে যার ফলে টেকনিক্যাল ক্যাডারে বেকারত্বের হার দিন দিন বাড়ছে। যেহেতু অর্গানোগ্রামটি আগে থেকে অ্যাপ্রুভ করা আছে, এ জন্য সরকারের কাছে আবেদন থাকবে এ বিষয়ে যেন সুষ্ঠু পদক্ষেপ নেওয়া হয়।’
এর আগে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধনের সার্বিক কার্যক্রম, ফিশারিজ সেক্টরের বর্তমান অবস্থা, গ্র্যাজুয়েটদের চাকরির অবস্থা এবং অর্গানোগ্রাম কেন দরকার এই বিষয়ে একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করা হয়। যাতে অংশ নেয় বাংলাদেশ মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধনটি সঠিকভাবে পরিচালনা করতে গত সোমবার (২৮ এপ্রিল) একটি সেন্ট্রাল কমিটি গঠন করা হয়।