কুয়েটে সংঘর্ষ: অস্ত্রধারীরা প্রকাশ্যে, মারধরের শিকার দুই কিশোর প্রিজন সেলে 

কুয়েটে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের সময় দেশীয় অস্ত্র হাতে হামলাকারীরা
কুয়েটে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের সময় দেশীয় অস্ত্র হাতে হামলাকারীরা  © সংগৃহীত

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের সময় দেশীয় অস্ত্র হাতে অবস্থান নেওয়া কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। তারা এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

অন্যদিকে মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সংঘর্ষের মাঝে পড়ে বেধরক মারধরের শিকার কিশোর ৪০ ঘণ্টা ধরে প্রিজন সেলে রয়েছেন। সেখানে ১২ বছর বয়সী আরেক কিশোরও রয়েছে্ন। 

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিজন সেলে গিয়ে জানা যায়, সংঘর্ষের ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে পাঁচজনকে আটক করে প্রিজন সেলে পাঠানো হয়। এর মধ্যে ইব্রাহিমের বয়স ১৯ এবং আরাফাতের বয়স দেখানো হয়েছে ১২ বছর। ইব্রাহিমের বাবা বাদশা বলেন, ইব্রাহিমের বয়স ১৬।

ওই কিশোরের মা জানান, সংঘর্ষের সময় এক পাশে ছাত্র, অন্য পাশে বিএনপির লোকজন ছিল। মাঝে মন্টুর ক্লিনিকের সামনে তারা কয়েকজন দাঁড়িয়ে ছিল। ছাত্রদের ধাওয়ায় অন্যরা পালিয়ে গেলে সে দৌড়ে ক্লিনিকের ভেতর ঢুকে আশ্রয় নেন। সেখানে অন্য গ্রুপেরও কয়েকজন আশ্রয় নিয়েছিলেন। পরে ক্লিনিকে ঢুকে সবাইকে কমবেশি পিটিয়েছে ছাত্ররা।

প্রিজন সেলে আটক অন্যরাও ইব্রাহিমের পক্ষে সাক্ষ্য দেন। তারা জানান, উৎসাহী হয়ে সংঘর্ষ দেখতে এসেছিল বেশ কয়েকজন কিশোর। বাকিরা পালিয়ে গেলেও কিশোর ইব্রাহিম পাশের একটি ক্লিনিকে আটকা পড়েন। আরাফাত আটকা পড়ে আরেকটি ভবনের ছাদে। সেখান থেকে তাদের আটক করা হয়।

কেন কিশোরকে আটক করা হলো– জানতে চাইলে খানজাহান আলী থানার ওসি (তদন্ত) সনজিত কুমার ঘোষ বলেন, ‘ওই কিশোরকে আটক করা হয়নি’। কয়েকবার কিশোরের বাবার নাম ও ঠিকানা তাকে দেওয়া হলে, প্রতিবারই তিনি আটকের বিষয়টি অস্বীকার করেন।’

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার নাজমুল হাসান রাজীব বলেন, ‘কুয়েটের ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচজনকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তারা অসুস্থ হওয়ায় প্রিজন সেলে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’

এ বিষয়ে বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট মো. মোমিনুল ইসলাম বলেন, ‘ওই কিশোরকে নির্যাতন এবং পরে তাকে প্রিজন সেলে আটকে রাখা আরও অমানবিক। পুলিশ তদন্ত না করে এভাবে কাউকে প্রিজন সেলে রাখতে পারে না। প্রাপ্তবয়স্কদের সঙ্গে একই সেলে শিশু-কিশোরকে রাখা আইনের লঙ্ঘন।’ 


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence