উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তরের দাবি গোবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের

গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়  © সংগৃহীত

গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (গোবিপ্রবি) সকল উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ সেনাবাহিনীর তত্বাবধানে পরিচালনার দাবি জানিয়ে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ বরাবর লিখিত দাবি জানিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এই দাবি জানান। 

শিক্ষার্থীরা বলেন, গোবিপ্রবি বাংলাদেশের একটি স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন প্রকল্পের কার্যক্রম শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য নয়, বরং জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থার মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা বহন করে। এছাড়াও, বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের উচ্চশিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র, যেখানে মানসম্মত অবকাঠামো ও উন্নয়নশীল পরিবেশ আমাদের শিক্ষাজীবনকে আরও সমৃদ্ধ করতে পারে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক যে, পূর্ববর্তী এবং চলমান উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর মান, সময়মত সমাপ্তি এবং স্বচ্ছতা নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠেছে, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তিকে ক্ষুন্ন করছে। লক্ষনীয় যে, প্রধান ফটক, মুরাল কমপ্লেক্সাসহ পূর্ববর্তী অনেক প্রকল্পের সময়কাল অকারণে দীর্ঘায়িত হয়েছে এবং হচ্ছে। টেন্ডার প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে কাজের বাস্তবায়ন পর্যন্ত বিভিন্ন পর্যায়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমনকি নির্ধারিত বাজেটের অতিরিক্ত ব্যয় এবং তদারকির অভাবে প্রথম ধাপের প্রকল্পগুলো এখনো সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়নি (যা ২০২১ সালের মধ্যে সম্পন্ন করে ২য় ধাপের কাজ শুরু করার কথা ছিলো), যা শুধু শিক্ষার পরিবেশকে ব্যাহত করেছে না, বরং আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানকে ক্ষুন্ন করছে।"

তারা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পেশাদারিত্ব, দক্ষতা ও সততার জন্য সর্বজনবিদিত এবং দেশের বিভিন্ন জাতীয় বৃহৎ উন্নয়ন প্রকল্প সেনাবাহিনীর দক্ষ তত্ত্বাবধানে সময়মত এবং গুণগত মান বজায় রেখে সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। সম্প্রতিসময়েও দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কাজ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে উল্লেখ করে বলেন,"তাই, আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা সম্মিলিতভাবে দাবি জানাচ্ছি যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের  চলমান এবং ভবিষ্যৎ উন্নয়ন প্রকল্পগুলো সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হোক। এতে কাজের স্বচ্ছতা, মান এবং সময়ানুবর্তিতা নিশ্চিত হবে। পাশাপাশি, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মানোন্নয়ন এবং গৌরব পুনরুদ্ধারের পথ প্রশস্ত হবে।

পরিশেষে আবারও উল্লেখ করেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, আপনার যথার্থ দিকনির্দেশনা এবং কার্যকর পদক্ষেপের মাধ্যমে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্পগুলো একটি নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে। অতএব, আপনার সদয় বিবেচনার জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ করছি।

সেনাবাহিনীর কাছে প্রকল্প হস্তান্তরের বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হোসেন উদ্দিন শেখর বলেন, আমি শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে আমি কিছু জানিনা। তাদের লিখিত দাবি আমি পায়নি। শিক্ষার্থীরা দাবি জানাতে পারে, তাদের অধিকার আছে। আর নতুন প্রকল্প শুরুর জন্য এখনো কোনো বাজেট আসেনি। আসলে তখন সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে। কাজ গুলো সেনাবাহিনীর হাতে দেওয়া সবচেয়ে ভালো হয়। কারণ যে পরিমানে চুরি হয়।

বর্তমান প্রকল্প হস্তান্তরের বিষয়ে প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, অলরেডি কন্টেকটার অর্ধেক কাজ করে চলে গেছে। এই মূহুর্তে আমাদের কোনো বাজেট নাই। বাজেট যেটা ছিল সেই টাকা চলে গেছে। এখন আমরা একটা রিভাইস বাজেট দিয়েছি। যেটা খুবি ছোট, যা দিয়ে প্রকল্পের বকেয়া পুরোটা দিতে লেগে যাবে। নতুন বাজেট আসলে আমার মতে সেনাবাহিনীর কাছে দেওয়া ভালো হবে।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence