দাবি না মানায় যবিপ্রবির পরিকল্পনা উন্নয়ন দপ্তরে শিক্ষার্থীদের তালা

যবিপ্রবি
যবিপ্রবি  © সম্পাদিত

বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে বন্ধ লিফট চালু করতে না পারায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) পরিকল্পনা উন্নয়ন ও পূর্ত (পিএনডি) দপ্তরে তালা ঝুলিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এসময় সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উপ পরিচালক ড. মো. আব্দুর রউফকে দপ্তর থেকে বের করে দেন আন্দোলনকারীরা। বুধবার (২৩ অক্টোবর) দুপুর ২ ঘটিকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএনডি দপ্তরের দরজায় ‘লিফটে দুর্নীতি ও দায়িত্বে অবহেলা করায় সংশ্লিষ্ট দপ্তর অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ’ লিখে তালা ঝুলিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা।

এর আগে গত মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল ও পিএনডি  দপ্তরকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লিফট চালুর আল্টিমেটাম দেয় তারা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের ২ টি লিফট বাদে বাকি লিফটগুলো এবং মুনশী মোহাম্মদ মেহেরুল্লাহ হল ও বীর প্রতীক তারামন বিবি হলের সবগুলো লিফট বন্ধ থাকায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। হলগুলোতে লিফট চালু না থাকায় ৪ টি ফ্লোরে প্রায় ১০০০ শিক্ষার্থীকে সিট বরাদ্দ দিতে পারছেনা হল প্রশাসন। ফলে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে মেসে থাকছেন শিক্ষার্থীরা। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তাঁরা। 

আরও পড়ুন: পদত্যাগপত্র দিতে বাধ্য হলেন ‘শিবির নেতা হত্যা মামলার আসামী’ চবি শিক্ষক রন্টু দাশ

জানা যায়, গত বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪টি লিফট স্থাপন নিয়ে নানা অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ উঠে। দুর্নীতির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এবং লিফটের মান নিয়ে প্রশ্ন থাকায় দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করেন যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বাসিন্দা ও বঙ্গবন্ধু পরিষদ যশোর জেলা শাখার প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল করিম। হাইকোর্ট তার রিট পিটিশন গ্রহণ করে তদন্তের আদেশ দিয়েছিলেন। তদন্তাধীন বিষয়টি নিষ্পত্তি না হওয়ায় লিফটগুলো বন্ধ রয়েছে বলে দাবি করছে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্তরা।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মাসুম বিল্লাহ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন এবং হলের লিফটগুলো অনেক দিন ধরেই বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত। যার মূল কারণ দুর্নীতি এবং কর্মকর্তাদের অপতৎপরতা। শুধুমাত্র লিফট না থাকায় মুন্সী মেহেরুল্লাহ হল ও বীরপ্রতীক তারামন বিবি হল পুরোপুরি চালু হয়নি। যার কারণে হল দুটিতে উঠতে পারছে না এক হাজারেরও অধিক শিক্ষার্থী। এছাড়া একাডেমিক ভবনেরও একই দশা। পায়ে হেঁটে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উপরে উঠে ক্লাস -পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হচ্ছে। আমরা গতকাল উক্ত দপ্তর গুলোকে আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম কিন্তু তারা কোন অগ্রগতি দেখাতে পারেনি। যার কারণে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আজ তালা দেওয়া হয়েছে।  

ঘটনাটি নিয়ে যবিপ্রবির পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও পূর্ত দপ্তরের উপ পরিচালক আব্দুর রউফের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ এর চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।


সর্বশেষ সংবাদ