‘বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না শ্রমিক কারখানা’—জিজ্ঞাসা পবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির

শিক্ষককে লাঞ্ছিতের ঘটনায় শিক্ষকদের প্রতিবাদ
শিক্ষককে লাঞ্ছিতের ঘটনায় শিক্ষকদের প্রতিবাদ  © টিডিসি ফটো

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) কর্মকর্তা কর্তৃক শিক্ষক লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় দ্বিতীয় দিনের মতো প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ভবনে শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয় এবং একই সময়ে বিক্ষোভ মিছিল করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। 

প্রতিবাদ কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামান মিয়া প্রশাসনের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘এ বিশ্ববিদ্যালয় কি কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নাকি শ্রমিক কারখানা? উপাচার্য আমাদের সাথে শ্রমিকদের মতো আচরণ করেছেন এবং শিক্ষক প্রতিনিধি দল তাঁর আচরণে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ।’

শিক্ষক সমিতি এবং শিক্ষার্থীদের উভয় কর্মসূচি থেকে অভিযুক্ত কর্মকর্তা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিকে কর্মরত (পিও টু প্রো-ভিসি) মো. সামসুল হক ওরফে রাসেলের স্থায়ীভাবে চাকুরিচ্যুতের দাবি জানানো হয়। এছাড়াও প্রতিবাদের অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ অব্যাহত থাকবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সামসুল হক ওরফে রাসেলের বিরুদ্ধে খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান অনুষদের সহকারী অধ্যাপক মো. নজরুল ইসলামকে হেনস্তা ও মারধরের অভিযোগ উঠে।

আরও পড়ুন: পবিপ্রবিতে শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন

অবস্থান কর্মসূচি থেকে শিক্ষক প্রতিনিধি দল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত’র সাথে এক জরুরি সভায় অংশগ্রহণ করে। মিটিং পরবর্তী শিক্ষক প্রতিনিধি দল অভিযোগ করেন, ‘এভাবে কোন বিশ্ববিদ্যালয় চলতে পারে না, উপাচার্যের কাছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের কোন মূল্য নেই, শিক্ষকরা মার খায় অপমানিত হয়—তার বিচার হয় না।’

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক জেহাদ পারভেজ বলেন, উপাচার্যের সাথে তাদের কোনো ফলপ্রসূ আলোচনা হয়নি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আচরণ, সিদ্ধান্ত কোনো কিছুই সন্তোষজনক নয়, আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত বলেন, আলোচিত ঘটনার বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে, তদন্ত কমিটি রিপোর্ট দেওয়ার পর কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence