উপাচার্যবিহীন এক বছর রুয়েট, আবারও রুটিন দায়িত্বে ‘ভিসি’ নিয়োগ
- রাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০১ আগস্ট ২০২৩, ০৭:৪৭ PM , আপডেট: ০১ আগস্ট ২০২৩, ০৯:০১ PM
অভিভাবকহীন ভাবেই এক বছর পার করলো রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) কার্যক্রম। উপাচার্য এবং উপ-উপাচার্য এর মত দুইটি গুরুত্বপুর্ণ পদ শূন্য রেখেই চলছে বিশ্ববিদ্যালয়টির কার্যক্রম। এতে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা নিয়ে দেখা দিয়েছে নানা বিপত্তি।
গত বছরের ৩১ জুলাই রুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম সেখের মেয়াদ শেষ হয়। এরপর রুটিন উপচার্যের দায়িত্ব পান অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেন। পদোন্নতি প্রার্থী শিক্ষকদের আন্দোলনের মুখে গত ২৮ মে তিনি পদত্যাগ করেন। এরপর থেকে রুয়েটে উপাচার্যের পদটি শূন্য রয়েছে। সম্প্রতি পরীক্ষার দাবিতে আন্দোলনে নামেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত রাখা হয়।
এদিকে, আজ মঙ্গলবার (১ আগস্ট) শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে আবারও উপাচার্যের রুটিন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপককে। বিশ্ববিদ্যালয়টির পুরকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো: নিয়ামুল বারিকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়।
মন্ত্রণালয়ের এক স্বারকে বলা হয়, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা গ্রহণসহ একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে পরবর্তী উপাচার্য নিযুক্ত না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো: নিয়ামুল বারি, ডিন, পুরকৌশল অনুষদকে নির্দেশক্রমে দায়িত্ব প্রদান করা হলো।
এ বিষয়ে অধ্যাপক ড. মো: নিয়ামুল বারি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, এটা ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের দায়িত্ব না। যেহেতু উপাচার্য নেই তাই আমাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এই দায়িত্বটি দেওয়া হয়েছে।
অধ্যাপক ড. মো: নিয়ামুল বারি
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, উপাচার্য না থাকায় দাপ্তরিক ও একাডেমিক কার্যক্রম থমকে আছে৷ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকল্পসহ পরীক্ষা ও ফলাফল প্রস্তুতে ধীরগতি এবং শিক্ষকদের পদন্নোতির মতো নানা সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এ সমস্যা দ্রুত সমাধান না হলে বিশ্ববিদ্যালয় বড় সংকটের মধ্যে পড়বে।
গত ২৩ জুলাই আন্দোলন করা শিক্ষার্থীরা বলেছিলেন, একই সেশনে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা স্নাতকোত্তর পর্যন্ত শেষ করেছে। অথচ আমরা এখন স্নাতক সম্মানই শেষ করতে পারলাম না। যথাসময়ে পরীক্ষা সম্পন্ন হচ্ছে না। বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের বারবার বলেও কোনো সমাধান হচ্ছে না। পরীক্ষা তারিখ দিলেও সেটা পিছিয়ে যাচ্ছে। তাই দ্রুত পরীক্ষার দাবিতে আমরা আন্দোলনে বসেছি।