যবিপ্রবিতে সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় ফের তদন্ত কমিটি গঠন
- যবিপ্রবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৩, ০৫:০৮ PM , আপডেট: ১৯ আগস্ট ২০২৫, ১১:২১ AM
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) ছাত্রলীগ কর্তৃক সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় পুনরায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মসিয়ূর রহমান হলের প্রভোস্ট ড. মো. আশরাফুজ্জামান জাহিদ কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের প্রতি অনাস্থার পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (১৯ জুন) উচ্চ পর্যায়ের ৪ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটির গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ কমিটিকে আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।
শনিবার (০৮ জুলাই ২০২৩) ভুক্তভোগী সাংবাদিকের কাছে পাঠানো এক অফিস আদেশ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার প্রকৌশলী মোঃ আহসান হাবীব স্বাক্ষরিত আদেশ থেকে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ও রিজেন্ট বোর্ড সদস্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইকবাল কবির জাহিদ কে আহ্বায়ক ও রেজিস্টার দপ্তরের সিনিয়র প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ আব্দুর রহিম কে সদস্য-সচিব করে এটি গঠন করা হয়েছে।
এছাড়া কমিটিতে সদস্য হিসেবে আছেন কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান ও রিজেন্ট বোর্ড সদস্য প্রফেসর ড. সৈয়দ মোঃ গালিব এবং মার্কেটিং বিভাগের চেয়ারম্যান ও রিজেন্ট বোর্ড সদস্য ড. মোঃ মেহেদী হাসান।
আরও পড়ুন: বাবার স্বপ্নই আমার সাহস, সফল হওয়ার অনুপ্রেরণা
উল্লেখ্য, গত ২২ মে ২০২৩ দুপুর আনুমানিক ২ ঘটিকায় বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সহ-সভাপতি ও ডেইলি ক্যাম্পাসের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক জহুরুল ইসলাম ডিপার্টমেন্টের কাজ শেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একাডেমিক ভবন থেকে শহীদ মসিয়ূর রহমান হলে যাওয়ার সময় হলের প্রধান ফটকে তাকে অবরুদ্ধ করেন শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী। ঘটনার এক পর্যায়ে সাংবাদিক জহুরুলকে হলের গেস্টরুমে ডেকে নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ সহ শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করেন শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান (পিইএসএস) বিভাগ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আসিফ আল মাহমুদ ও ছাত্রলীগ কর্মী বেলাল হোসেন।
এ ঘটনায় শহীদ মসিয়ূর রহমান হলের প্রভোস্ট ড. আশরাফুজ্জামান জাহিদ কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনের প্রতি অনাস্থা জানিয়েছিলেন ঐ সাংবাদিক। পরবর্তীতে তিনি নতুন করে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করে তদন্তের জন্য যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড মো আনোয়ার হোসেন বরাবর আবেদন করেন।