বশেফমুবিপ্রবিতে বুধবার থেকে শুরু হবে ক্লাস-পরীক্ষা

শিক্ষকদের সাথে আলোচনা
শিক্ষকদের সাথে আলোচনা   © টিডিসি ফটো

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেফমুবিপ্রবি) চলমান উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় শিক্ষকবৃন্দ ১৬ নভেম্বর (বুধবার) থেকে ক্লাস-পরীক্ষা নেয়ার কথা জানান। রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়। 

আজ বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে উপাচার্য প্রফেসর ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদের সঙ্গে শিক্ষকদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় শিক্ষকরা ছাড়াও ছাত্র প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। 

সভায় উপাচার্যের কাছে শিক্ষকরা তাদের দাবিসমূহ তুলে ধরেন। এ সময় তিনি ১৪ নভেম্বর (সোমবার) অনুষ্ঠিতব্য অর্থ কমিটি ও ১৫ নভেম্বর (মঙ্গলবার) অনুষ্ঠিতব্য সিন্ডিকেট সভায় শিক্ষকবৃন্দের যৌক্তিক দাবিসমূহ পূরণের আশ্বাস দেন। পরে অর্থ কমিটি ও সিন্ডিকেট সভার পর অর্থাৎ ১৬ নভেম্বর (বুধবার) থেকে শিক্ষকবৃন্দ ক্লাস-পরীক্ষা নেয়ার কথা জানান।

এর আগে একাডেমিক এবং প্রশাসনিক অনিয়ম, অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে ও ১০দফা দাবিতে ক্লাশ-পরীক্ষা বর্জন করে কর্মবিরতি পালন করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। তাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

বুধবার সকাল থেকেই ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা এ কর্মসূচি পালন করেন। পরে বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবম অর্থ কমিটির সভার সিদ্ধান্ত ১২তম সিন্ডিকেট সভায় বিকৃতভাবে উপস্থাপন এবং একাডেমিক ও প্রশাসনিক অনিয়ম-অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদ ও সমাধানের লক্ষ্যে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।

সমাজকর্ম বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান মো.মামুন সরকার বলেন, প্রশাসনিক অব্যবস্থাপনাটাই আমাদের মূল অভিযোগ। শিক্ষকদের প্রমোশনটা সময় মতো কর্তৃপক্ষ দেন না। সার্কুলার ঠিকমতো দেন না। বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার পেছনের শিক্ষকদের পরিশ্রমের সঠিক পারিশ্রমিক যথাযথ মূল্যায়ন না করা হয় না। অন্য বিশ্বদ্যালয়ের সঙ্গে পারিশ্রমিকের সামতাসহ ১০দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে এ কর্মবিরতি পালন করছেন শিক্ষকরা। তাদের দাবি আদায় হলেই কর্মবিরতি থেকে সরে যাবেন বলে জানান তিনি।

দাবিগুলো হলো, অর্থ কমিটির সভার শিক্ষক সংশ্লিষ্ট সিদ্ধান্তকে রেজুলেশনে বিকৃতভাবে লিপিবন্ধ করণ ও ১২তম সিন্ডিকেট সভায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে উপস্থাপনের মাধ্যমে শিক্ষকবৃন্দদের হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে।

একাডেমিক ভবনে শিক্ষার্থীদের জন্য বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যবস্থা ও হলের ডাইনিং পরিচালনায় ভর্তুকি প্রদান করতে হবে। পরিবহন পুলে শিক্ষক শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য পৃথক গাড়ি এবং অ্যাম্বুলেন্স বরাদ দিতে হবে।

কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে মূল ও রেফারেন্স বইয়ের একাধিক মাল্টার কপিসহ উন্নতমানের দেশি-বিদেশি বই, জার্নাল সরবরাহ করতে হবে এবং লাইব্রেরির ব্যবস্থাপনায় আধুনিকীকরণ ও অটোমেসনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিকীকরণ করে পুনর্নির্মাণ করতে হবে।

আর্ট ক্লাসরুম ও আধুনিক ল্যাব সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কাজে গতিশীলতার স্বার্থে সকল চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করতে হবে।

গবেষণাখাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি এবং জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক পর্যায়ে কোনো শিক্ষক গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপনের জন্য আমন্ত্রিত হলে তার রেজিস্ট্রেশন, যাতায়াতসহ সামগ্রিক ব্যয় বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রদান করাসহ ১০ দফা দাবিতে কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষকরা।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence