পে-স্কেল: চাকরিজীবীদের ডেডলাইন ৩০ নভেম্বর, ১৪ ফেব্রুয়ারি বলছে কমিশন
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:৩৩ PM
নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নের জন্য সরকারি চাকরিজীবীরা আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে পে কমিশনের সুপারিশ চূড়ান্ত করার আল্টিমেটাম দিয়েছেন। তাদের দাবি, নভেম্বরের মধ্যে সুপারিশ এবং ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে তা বাস্তবায়ন না হলে তারা আন্দোলনে নামবেন। অন্যদিকে নবম পে কমিশনের সদস্যরা বলছেন, কমিশনের হাতে কাজ শেষ করার জন্য আগামী বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় আছে। এই সময়ের মধ্যেই তারা সরকারকে চূড়ান্ত সুপারিশ জমা দেবেন।
এ বিষয়ে আজ বুধবার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ জানান, পে স্কেল বাস্তবায়নে আরও একটু সময় লাগবে। কমিশনের ‘রিপোর্ট দেখে ওটাকে আবার রিকনসাইল করতে হবে। এর পর এডমিনিস্ট্রেট কতগুলো প্রসেস আছে, সচিব কমিটি আছে ওরা দেখবে, তারপর মোপা (জনপ্রশাসন) আছে ওরা দেখবে। একেবারে আমাদের সময়ে ইমপ্লিমেন্ট করা যেতে নাও পারি। সেজন্য আমি বলেছি যে রিপোর্ট হওয়ার পর মোটামুটি একটা ফ্রেমওয়ার্ক দিয়ে যাব। আমরা যদি সেই সময়ের মধ্যে এটা রিকনসাল করতে পারি, তবে করব।
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা জানিয়েছেন, পে কমিশনের কাজ দীর্ঘায়িত হচ্ছে। অথচ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়ায় নতুন বেতন কাঠামো প্রয়োজন। তাই তারা দ্রুত কমিশনের কাজ শেষ করে সরকারকে সুপারিশ জমা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
চাকরিজীবীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নভেম্বরের মধ্যেই কমিশন যদি সুপারিশ না দেয়, তবে ডিসেম্বর থেকে তারা মাঠে কর্মসূচি শুরু করবেন। একই সঙ্গে কমিশনের ওপর দাবি আদায়ে চাপ অব্যাহত রাখারও ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
জানতে চাইলে সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি বদিউল কবির দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, ‘যেহেতু অন্তর্বর্তী সরকারই পে কমিশন গঠন করেছে, তাই নতুন পে-স্কেলও এই সরকারকেই দিতে হবে।’ তিনি বলেন, নভেম্বরের ৩০ তারিখের মধ্যে পে কমিশনের সুপারিশ জমা না পড়লে তারা কমিশনের ওপর চাপ বাড়াবেন। পাশাপাশি বৃহত্তর কর্মসূচি গ্রহণেরও ইঙ্গিত দেন এই কর্মচারী নেতা।
পে কমিশন সূত্রে জানা গেছে, সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন কাঠামো পুনর্নির্ধারণে কমিশনের কাজ প্রায় শেষের দিকে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, দপ্তর ও সংস্থার মতামত নেওয়ার পর এখন চূড়ান্ত সংকলনের কাজ চলছে।
কমিশনের এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “আমরা চাই নভেম্বরের মধ্যেই সব কার্যক্রম শেষ করতে। ডিসেম্বরের মধ্যে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পরিকল্পনা আছে। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে কমিশনের সময়সীমা ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।”
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের শুরুতে নবম পে কমিশন গঠন করে সরকার। এর চেয়ারম্যান করা হয় অর্থ বিভাগের সাবেক সিনিয়র সচিব ড. খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামকে। কমিশনকে এক বছরের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়।
চাকরিজীবীরা আশা করছেন, এবারের বেতন কাঠামোয় মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বেতন বৃদ্ধি, গ্রেড কমানো এবং ভাতা সমন্বয়ের বিষয়টি গুরুত্ব পাবে।