তিন দপ্তরের কাম্য শিক্ষাগত যোগ্যতার সমতা বিধান, ভাগ্য খুলল ৫ হাজার প্রার্থীর
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:১৫ PM
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা, মাদ্রাসা এবং কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের ভিন্ন ভিন্ন শিক্ষাগত যোগ্যতার সমতা বিধান করা হয়েছে। এর ফলে বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তিতে সুপারিশ পেতে যাচ্ছেন প্রায় পাঁচ হাজার প্রার্থী।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মুহাম্মদ রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এ বিভাগের নিয়োগের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতার সমতা করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়, বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসি), মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি), মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, তিন শিক্ষা অধিদপ্তরের আলাদা শিক্ষাগত যোগ্যতার নিয়মের কারণে শিক্ষক নিয়োগ সুপারিশে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছিল। বিশেষ করে ৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে অনেক প্রার্থী এই প্রাতিষ্ঠানিক বাধার কারণে সুপারিশ থেকে বঞ্চিত হন। দীর্ঘদিন ধরে নিবন্ধিত প্রার্থীদের দাবি ছিল—সব অধিদপ্তরে একই শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রযোজ্য করা হোক। সেই দাবি বিবেচনায় নিয়ে এনটিআরসিএ বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তিতে সমতার সুযোগ রাখে। ইতোমধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ খসড়া চূড়ান্ত করেছে এবং প্রাতিষ্ঠানিক বাধা তুলে নেওয়ার অনুমোদন দিয়েছে।
তবে কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ এখনও শিক্ষাগত যোগ্যতার সমতা চূড়ান্ত না করায় পাঁচ হাজারের মতো প্রার্থীর সুপারিশ আটকে আছে। বিষয়ভেদে যোগ্যতার পার্থক্যের কারণে এনটিআরসিএ এখনো তাদের চূড়ান্ত সুপারিশ করতে পারছে না।
এর মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ তাদের আওতাধীন স্কুল–কলেজ পর্যায়ের সব বিষয়ে শিক্ষাগত যোগ্যতার সমতা সম্পন্ন করেছে। কিন্তু কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগে সমতা বিধান বিলম্বিত হওয়ায় পুরো নিয়োগ–প্রক্রিয়আ থমকে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। অবশেষে সেই আশঙ্কা দূর হলো। কপাল খুলল ৫ হাজার নিবন্ধনধারীর।