ভাষাবিজ্ঞান শিক্ষার্থীদের নিয়োগের ব্যবস্থা করতে পিএসসি চেয়ারম্যানকে শিক্ষা উপদেষ্টার চিঠি
ভাষাবিজ্ঞান বিভাগ থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের সরকারি চাকরিতে নিয়োগের সুযোগ সৃষ্টির জন্য বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রীর উপদেষ্টা। গত ৪ সেপ্টেম্বর এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়।
চিঠিতে উপদেষ্টা বলেছেন, ‘ভাষাবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারীগণ হাতে-কলমে ভাষা বিশ্লেষণ ও ভাষা শিক্ষণ বিষয়ে শিক্ষা গ্রহণ করে থাকে। তাঁদের এই অর্জিত জ্ঞান শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণের মধ্য দিয়ে বিশাল সংখ্যক ভাষাদক্ষ জনগোষ্ঠী গড়ে তোলা সম্ভব। কার্যকর যোগাযোগের সামর্থ্য সফল ও দক্ষ মানুষ গড়ে তোলার পূর্বশর্ত। ভাষা গবেষণা, ব্যাকরণচর্চা এবং ভাষার প্রায়োগিক অনুশীলনের বিশেষায়িত জ্ঞানশাখা হিসেবে ভাষাবিজ্ঞানের ভূমিকা বিশ্বস্বীকৃত।’
তিনি বলেন, ‘ভাষা বিজ্ঞান ভাষা সম্পর্কে গভীর জ্ঞান, ভাষা শিক্ষা পদ্ধতির উন্নয়ন, ভাষার উৎপত্তি ও বিকাশ, ভাষার পরিবর্তন ও বিবর্তন বোঝা এবং আধুনিক ভাষা বিজ্ঞানের ভিত্তি তৈরি করে। ভাষা বিজ্ঞান ভাষার ধ্বনিবিস্তার, বাক্যতত্ত্ব, রূপতত্ত্ব এবং শব্দার্থতত্ত্ব অনুবাদ, ভাষা শিক্ষণ, উপভাষাতত্ত্ব, সাহিত্যে ভাষা বিজ্ঞানের প্রয়োগ, প্রতীকী ভাষা নিয়ে গবেষণা করে।’
শিক্ষা উপদেষ্টা চিঠিতে বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রাথমিক, নিম্ন-মাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক কারিকুলাম অনুসারে স্কুলে কলেজে ২০০ (১০০+১০০) নম্বরের ব্যাকরণ ও ভাষা-প্রয়োগ বিষয়ে পাঠদান করা হয়; যা ‘বাংলা দ্বিতীয় পত্র’ নামে সমাধিক পরিচিত। মাধ্যমিক ও উচ্চ-মাধ্যমিক স্তরের বাংলা ভাষা ও ব্যাকরণ ভাষাবিজ্ঞান বিষয়ে ডিগ্রিধারীদের কারিকুলামের সাথে সামঞ্জস্যর্পূণ। ভাষাবিজ্ঞান বিষয়ে ডিগ্রিধারীগণ স্কুল ও কলেজে ভাষা বিষয়ে (ব্যাকরণ) পাঠদানে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে ভূমিকা পালন করতে পারে।
সে লক্ষ্যে প্রভাষক (বাংলা) পদে ভাষাবিজ্ঞান বিষয়ে ডিগ্রিধারীগণকে নিয়োগ এর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলে শিক্ষার মান উন্নয়নে প্রভূত অগ্রগতি হবে বলেই আমি বিশ্বাস করি। এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য জোর সুপারিশ করছি।’