মাউশি ভেঙে হতে পারে নতুন দুই অধিদপ্তর
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ৩১ আগস্ট ২০২৫, ০৯:৩৪ AM , আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:৩৪ PM
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) ভেঙে দুটি নতুন অধিদপ্তর গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রশাসনিক, আর্থিক ও একাডেমিক কার্যক্রমকে আরও কার্যকর ও গতিশীল করার লক্ষ্যে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে পাঠানো প্রস্তাবপত্রে স্বাক্ষর করেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরার এবং সাবেক সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের। প্রস্তাবে দু’টি পৃথক অধিদপ্তর গঠনের কথা বলা হয়েছে—একটি হবে ‘মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর’, আর অন্যটি ‘উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা অধিদপ্তর’।
মন্ত্রণালয় বলছে, ২০১০ সালের জাতীয় শিক্ষানীতির ২৭ নম্বর অনুচ্ছেদে মাধ্যমিক ও কলেজ পর্যায়ের জন্য পৃথক দুটি অধিদপ্তর গঠনের সুপারিশ ছিল। সে সুপারিশ বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় এ উদ্যোগ। মাধ্যমিক ও কলেজ পর্যায়ের কাজ আলাদা করে পরিচালনা করলে প্রশাসনিক কার্যক্রম আরও গতি পাবে।
জানা গেছে, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের অধীনে বর্তমানে দেশের শিক্ষাপর্যায়ের একটি বিস্তৃত কাঠামো পরিচালিত হচ্ছে। অধিদপ্তরটির আওতায় রয়েছে ৯টি বিভাগীয় কার্যালয়, ৬৪টি জেলা শিক্ষা অফিস এবং ৫১৬টি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস। একইসঙ্গে পরিচালিত হচ্ছে ৬৬৬টি সরকারি কলেজ, ৭০৬টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ১০৪টি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজ।
আরও পড়ুন: একাদশে তৃতীয় ধাপের আবেদন শুরু আজ, সময় দু’দিন
বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) ২০২৪ সালের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২১ হাজার ২৩২টি। এর মধ্যে ১ হাজার ৫১৪টি প্রতিষ্ঠান একযোগে স্কুল ও কলেজ পর্যায়ের পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এ পর্যায়ে শিক্ষক রয়েছেন দুই লাখ ৯৩ হাজার ২৮৯ জন, আর শিক্ষার্থী সংখ্যা ৯০ লাখ ৬৩ হাজার ৪২২ জন।
এত বৃহৎ একটি কাঠামো পরিচালনার প্রেক্ষাপটে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবিত নতুন দুটি অধিদপ্তর গঠনের পরিকল্পনা নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিশাল এ প্রশাসনিক কাঠামোকে আরও কার্যকর ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে মন্ত্রণালয় পৃথকভাবে মাধ্যমিক এবং উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা অধিদপ্তর গঠনের যে উদ্যোগ নিচ্ছে, তা ইতোমধ্যে শিক্ষা খাতের ভেতরে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে।