শিক্ষকদের শূন্য পদে বদলিতে যে তিন শর্ত মানতে হবে

শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক
শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক  © ফাইল ছবি

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) সুপারিশে নিয়োগ পাওয়া ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের শূন্য পদের বিপরীতে বদলির ফাইল অনুমোদন দিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। চলতি সপ্তাহে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করবে মন্ত্রণালয়। এরপর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমে বদলি কার্যক্রম শুরু হবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, বদলির ক্ষেত্রে সহজ তিনটি বিষয় বিবেচনায় নেওয়া হবে। এটি শিক্ষকদের ভালোর জন্যই করা হচ্ছে। নারী শিক্ষক, নিবন্ধন নম্বর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে নিজ জেলার দূরত্ব—এই বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে বদলি কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। বিষয়গুলো বদলির সফটওয়্যারে উল্লেখ থাকবে।

জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (মাধ্যমিক-২) রবিউল ইসলাম দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘এনটিআরসিএ’র সুপারিশ পাওয়া শিক্ষকদের শূন্য পদে বদলি চালু সংক্রান্ত ফাইলে শিক্ষা উপদেষ্টা স্বাক্ষর করেছেন। শিক্ষকরা কিছু শর্ত মেনে বদলির আবেদন করতে পারবেন। বদলি হবে মাউশির মাধ্যমে।’

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, শূন্য পদের বিপরীতে বদলির ক্ষেত্রে নারী শিক্ষকরা প্রাধান্য পাবেন। নারী শিক্ষকদের পরে একজন শিক্ষক নিজ বাড়ি থেকে কত দূরে রয়েছেন সেই বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হবে। একই প্রতিষ্ঠানে একাধিক শিক্ষক আবেদন করলে এবং তাদের সবকিছু একই হলে তখন এনটিআরসিএ’র দেওয়া শিক্ষক নিবন্ধনের প্রাপ্ত নম্বর বিবেচনায় নিয়ে বদলির সুযোগ দেওয়া হবে।

২০১৬ সাল থেকে এনটিআরসিএ গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক সুপারিশ করে আসছে। প্রথম গণবিজ্ঞপ্তিতে উপজেলাভিত্তিক শিক্ষক সুপারিশ করার ফলে নিজ উপজেলায় শূন্য পদ না থাকায় অনেক শিক্ষক বাধ্য হয়ে মাদ্রাসায় ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন। দ্বিতীয় ও তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে মেরিট পজিশন অনুযায়ী জাতীয় পর্যায়ে শিক্ষক সুপারিশ করা হয়েছিল। 

এনটিআরসিএর নিয়োগ পরিপত্র অনুযায়ী, একজন ইনডেক্সধারী শিক্ষক যেকোনো বয়সে পরবর্তী যেকোনো গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের মাধ্যমে মেরিট পজিশন অনুযায়ী প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন করতে পারবেন। তাই দ্বিতীয় ও তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে অনেক নিবন্ধনধারী শিক্ষক নিজ এলাকায় শূন্য পদ না থাকায় দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে আবেদন করে সুপারিশ পেয়েছেন। 

কিন্তু হঠাৎ করে নিয়োগ কর্তৃপক্ষ পরিপত্র ২০১৫ এর ৭নং অনুচ্ছেদ সাময়িক স্থগিত করার কারণে চতুর্থ ও পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে ইনডেক্সধারীদেরও আবেদনের সুযোগ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ইনডেক্সধারী শিক্ষকেরা এখন সমস্যায় পড়েছেন। বিশেষ করে নারী শিক্ষকদের পাশাপাশি পুরুষ শিক্ষকেরাও নিজ উপজেলা থেকে ৪০০-৫০০ কিলোমিটার দূরে এনটিআরসিএর মাধ্যমে নিয়োগ পেয়ে পরিবার ছেড়ে আরেক জায়গায় চাকরি করছেন।

এ অবস্থায়  ইনডেক্সধারী শিক্ষকেরা শূন্য পদে বদলির দাবিতে সম্প্রতি একাধিকবার বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করছেন।


সর্বশেষ সংবাদ