অনলাইনে গরু অর্ডার দিয়ে প্রতারণার শিকার বাণিজ্যমন্ত্রী

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি  © ফাইল ফটো

ই-কমার্সের প্রতারনায় খোদ নিজেই ভুক্তভোগী বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। দুই বছর আগে একটি ই-কমার্স সাইটের উদ্বোধনীতে কোরবানির জন্য এক লাখ টাকায় গরুর অর্ডার দিয়ে কাঙ্খিত গরু তিনি পাননি। তিনি অনলাইনে গরুর কেনার আদেশ দিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলে জানান।

রবিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ‘প্রতিযোগিতা আইন বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাজারে সুষ্ঠু প্রতিযোগিতাপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টিতে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালায় যোগ দিয়ে এসব কথা জানান। বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন এ কর্মশালার আয়োজন করে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমাকে যে গরুটি দেখিয়েছিল, আমি সেটি পাইনি। কিন্তু ৫/৬ দিন পর জানানো হলো আমাকে যে গরুটি দেখানো হয়েছিল, তা বিক্রি হয়ে গেছে। পরে আমাকে কমদামে অন্য একটি গরু দিয়েছিল। সাথে একটি ছাগলও পেয়েছিলাম।

তিনি বলেন, গরু পাওয়ার আগে টাকা পরিশোধ করে আমি তাদের কাছে বন্দি হয়ে গিয়েছিলাম। তাই পরে ওরা যে গরুটি দিয়েছে, তাই নিয়েছি। তিনি আরও বলেন, ই-কমার্সের জন্য নীতিমালা করার উদ্যোগ নিয়ে দেখি এর পক্ষ-বিপক্ষ আছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ইভ্যালির প্রতারণা অনেক সময় বোঝাই যায়নি। আড়াই লাখ টাকার হোন্ডা দেড় বা দুই লাখ টাকায় কিভাবে দেয় তারা? উৎপাদন খরচের চেয়েও কম দামে পণ্য দেয়ার অফার বাস্তব সম্মত নয়, এটা বুঝতে হবে। সাধারণ মানুষকে এ ধরনের প্রলোভন থেকে সরে আসতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আদালতের নিষেধাজ্ঞার কারণে ইভ্যালি, যুবক, ডেসটিনির সম্পদ বিক্রি করে গ্রাহকদের পাওনা পরিশোধ করা যাচ্ছে না। যদি এ সুযোগটি পাওয়া যেত তাহলে হয়তো ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ গ্রাহকের পাওনা পরিশোধ করা সম্ভব হতো। বিষয়টি নিয়ে আইন মন্ত্রণালয় কাজ করছে।

কমিশনের চেয়ারপারসন মো. মফিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বক্তব্য দেন সংস্থাটির তিন সদস্য জি এম সালেহ উদ্দিন, এ এফ এম মনজুর কাদির ও নাসরিন বেগম এবং আইন পরামর্শক মাফরুহা মারফি।


সর্বশেষ সংবাদ