এক মাসেই ৫ কোটি ‘ভুয়া তথ্য’ শনাক্ত করেছে ফেসবুক

  © প্রতীকী ছবি

বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস সংক্রমণের মধ্যেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে থেমে নেই ভুয়া তথ্যের ছড়াছড়ি। শুধুমাত্র গত এপ্রিল মাসে ৫ কোটি ‘ভুয়া তথ্য’ শনাক্ত করেছে ফেসবুক। ফেসবুকে প্রচারিত সাড়ে প্রায় ৭ হাজার প্রবন্ধ ফ্যাক্ট-চেকিং করে এ তথ্য পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। আজ সোমবার (২২ জুন) গ্লোবাল ফ্যাক্ট ৭ সম্মেলনের শুরুর দিন অংশ নিয়ে ফেসবুকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন।

এর আগে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভুয়া তথ্য যেন কেউ শেয়ার করে ছড়িয়ে দিতে না পারে সে জন্য সতর্ক করে বিশেষ পদক্ষেপের কথা জানিয়েছে ফেসবুক।

এক স্ট্যাটাস ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা ও কর্ণধার মার্ক জাকারবার্গ জানিয়েছেন, ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করতে স্বাস্থ্য পরিসেবার সঙ্গে যুক্ত প্রায় ২০০ কোটি ইউজার করোনাভাইরাস সংক্রান্ত তথ্য দিচ্ছেন। একইভাবে প্রায় ৩৫ কোটি ইউজার করোনা সম্পর্কে জানতে ফেসবুকে ক্লিক করছেন। তাই ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে ভুল তথ্য প্রচার কমানোর জন্য আমরা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

তিনি জানান, মার্চের শুরু থেকেই ১২টির বেশি দেশে এ ধরনের খবরের সত্যতা যাচাই করতে (ফ্যাক্ট-চেকিং) কাজ শুরু করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ৬০০টির বেশি ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থার সঙ্গে যুক্ত হয়ে ৫০টিরও বেশি ভাষায় করোনাভাইরাস সংক্রান্ত বিভিন্ন পোস্ট খুঁটিয়ে দেখছে ফেসবুক। যদি কোনো পোস্টে ভুয়া অথবা ভুল তথ্য থাকে, যার ফলে বিভ্রান্তি ছড়াতে পারে, তবে সেগুলো সরিয়ে দেয়া হচ্ছে।

এদিকে শুধু গত মার্চ মাসজুড়ে ফ্যাক্ট-চেকাররা এ ধরনের প্রায় ৪ হাজারের মতো পোস্ট খুঁজে পেয়েছেন। করোনাভাইরাস সম্পর্কিত ভুল তথ্য প্রকাশের জন্য ফ্যাক্ট-চেকারদের লেখা নিবন্ধগুলোতে ‘গেট দ্য ফ্যাক্টস’ নামে একটি নতুন ফিচার চালু করেছে ফেসবুক। এর মাধ্যমে ভুল তথ্য সংশোধন করে ব্যবহারকারীর কাছে পাঠানো হবে।

জাকারবার্গ জানান, খুব শিগগির করোনা বিষয়ে বিভিন্ন দেশের খবর তথ্যমূলক পোস্টগুলোতেও কড়া নজরদারি দেয়া হবে। পোস্টগুলো আলাদা করে দেখা শুরু হবে। যারা এর আগে করোনাভাইরাস সম্পর্কিত ভুল তথ্যের সঙ্গে কোনো না কোনোভাবে জড়িত ছিলেন, তাদের কাছে সঠিক তথ্যগুলো পাঠানো হবে।


সর্বশেষ সংবাদ