বার্ষিক পরীক্ষায় অনুপস্থিতির হারে শীর্ষে ময়মনসিংহ, কম বরিশালে

বার্ষিক পরীক্ষায় অনুপস্থিতির হারে শীর্ষে ময়মনসিংহ
বার্ষিক পরীক্ষায় অনুপস্থিতির হারে শীর্ষে ময়মনসিংহ  © ফাইল ছবি

দেশে করোনাভাইরাসের কারণে গত বছর বার্ষিক পরীক্ষায় ময়মনসিংহ অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের অনুপস্থিতির হার ছিল সবচেয়ে বেশি। এ অঞ্চলে অনুপস্থিতির হার ছিল ৮ দশমিক ৯৩ শতাংশ। অন্যদিকে বরিশাল অঞ্চলে অনুপস্থিতির হার সবচেয়ে কম। অঞ্চলটিতে অনুপস্থিতির হার ৬ দশমিক ৬২ শতাংশ। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

মাউশির প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, গেল বছর দেশের অর্ধেকের বেশি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ৪ লাখ ৮১ হাজার শিক্ষার্থী বার্ষিক পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিল। তাদের মধ্যে ৪৭ হাজারের বেশি ছাত্রীর বাল্যবিবাহ হয়েছে। আর শিশুশ্রমে যুক্ত হয়েছে প্রায় ৭৮ হাজার শিক্ষার্থী। বাকিদের অনুপস্থিতির সুনির্দিষ্ট কারণ জানা যায়নি।

দেশে মাউশির নয়টি আঞ্চলিক কার্যালয় রয়েছে। মাউশি দেশের সব বিদ্যালয়ের কাছেই তথ্য চেয়েছিল। তবে তথ্য দিয়েছে ১১ হাজার ৬৭৯টি। এগুলোয় গত বছর মোট শিক্ষার্থী ছিল প্রায় ৬৬ লাখ ৫০ হাজার, যা ২০২০ সালে ছিল ৬৫ লাখ ৫৬ হাজার। এই তথ্য বলছে, বিদ্যালয়গুলোয় করোনার মধ্যেও প্রায় ৯৩ হাজার বেড়েছে শিক্ষার্থী।

আরও পড়ুন: বন্যাকবলিত স্কুল-কলেজের প্রায় ৬ লাখ শিক্ষার্থী: মাউশি

মাউশির প্রতিবেদন বলছে, বার্ষিক পরীক্ষায় ময়মনসিংহ অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের অনুপস্থিতির হার (৮ দশমিক ৯৩ শতাংশ) বেশি, বরিশাল অঞ্চলে অনুপস্থিতির হার সবচেয়ে কম (৬ দশমিক ৬২ শতাংশ)। বাল্যবিবাহের কারণে অনুপস্থিতির হার সবচেয়ে বেশি রাজশাহী অঞ্চলে (১৫ দশমিক ৮২ শতাংশ), সবচেয়ে কম সিলেট অঞ্চলে (৪ দশমিক ৩০ শতাংশ)।

সম্প্রতি মাউশি সূত্রে জানা যায়, সিলেটের জৈন্তাপুরের শাড়িঘাট হাইস্কুলে ২০২০ সালে ৭৪৬ শিক্ষার্থী ছিল। ২০২১ সালে শিক্ষার্থী কমে দাঁড়ায় ৬৮৪ জনে। বিদ্যালয়টির ১৪ ছাত্রীর বাল্যবিবাহ হয়ে গেছে। শিশুশ্রমে যুক্ত শিক্ষার্থীও রাজশাহী অঞ্চলে বেশি। এ কারণে এই অঞ্চলে প্রায় ১৯ শতাংশ শিক্ষার্থী বার্ষিক পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিল। কম চট্টগ্রাম অঞ্চলে (প্রায় ১৩ শতাংশ)।

মাউশির পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন শাখার পরিচালক অধ্যাপক মো. আমির হোসেন বলেন, বাল্যবিবাহ শুধু অশিক্ষিত ও দরিদ্র পরিবারেই হয় না, শিক্ষিত পরিবারের মেয়েরাও বাল্যবিবাহের শিকার হয়। অনেকে বিয়ের পর ফিরে আসে। আবার মৌসুমি কাজে অনেক শিক্ষার্থী মা-বাবাকে সহায়তা করে বা এক এলাকা থেকে আরেক এলাকায় গিয়ে অর্থের বিনিময়ে শ্রম দেয়। আবার এদের অনেকেই ফিরে আসেন।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence