অ্যাসাইনমেন্টের সফলতা যাচাইয়ে ১০০ স্কুলে ‘পাইলটিং’
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২১, ০৮:৫৭ AM , আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২১, ০৯:০৩ AM
দেশের মাধ্যমিক (৬ষ্ঠ-৯ম শ্রেণী) পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট কতটুকু সফলতা এসেছে তা যাচাই করতে ১০০ স্কুলে ‘পাইলটিং’ করা হবে। রবিবার (১৪ মার্চ) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ গোলাম মো. ফারুক স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি পরিপত্র জারি করা হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, করোনার কারণে বার্ষিক পরীক্ষার পরিবর্তে ২০২০ শিক্ষাবর্ষে মাধ্যমিক পর্যায়ে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এ কার্যক্রমের ফলপ্রসূতা যাচাইয়ের লক্ষ্যে দেশের ৬৪টি জেলা থেকে দুই হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বাছাই করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে পাইলট প্রোগ্রামের জন্য ১০০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে নির্বাচন করা হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে পাইলটিং কর্মকর্তাদের জেলা, উপজেলার থেকে নেয়া হবে।
‘‘এজন্য অ্যাসাইনমেন্টের ফলপ্রসূতা যাচাইয়ের লক্ষ্যে গুগল ফরমের মাধ্যমে সমীক্ষা পরিচালনার জন্য প্রশ্নমালা তৈরি করা হয়েছে, যার লিংক ই-মেইলে এসব প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের কাছে পাঠানো হয়েছে।’’
এতে বলা হয়েছে, সমীক্ষা পরিচালনার প্রশ্নমালার লিংকসমূহ এসব স্কুলের আওতাধীন সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে (শুধুমাত্র পাইলট প্রােগ্রামের জন্য মনোনীত সংযুক্ত তালিকায় উল্লেখিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান) পাঠানো হয়েছে। সংযুক্ত তালিকা থেকে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক এবং তাদের সহায়তায় অভিভাবক এবং শিক্ষার্থীদের সমীক্ষা চালাতে প্রশ্নমালা পূরণ নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে যেকোনো প্রয়োজনে ০২-৫৮৬১০২৫৫ এই নম্বরে যোগাযোগ করা যাবে।
এর আগে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে দেশের মাধ্যমিক পর্যায়ে সব শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা বাতিল করে এক মাসের সংক্ষিপ্ত অ্যাসাইমেন্টের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হয়। সে অনুযায়ী ২০২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের পহেলা নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত অ্যাসাইমেন্ট নেয়া হয়।
জানা গেছে, পাইলটিং কার্যক্রমে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, বাংলাদেশ পরীক্ষা উন্নয়ন ইউনিট এই গবেষণা কার্যক্রমটি পরিচালনা করছে বিধায় তাদের সার্বিক সহযোগিতা করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছে মাউশি। নির্দেশনায় মাঠ পর্যায়ের মনিটরিং কর্মকর্তাদের জন্য চার দফা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের জন্য ১২ দফা, শিক্ষকদের জন্য চার দফা, অভিভাবকদের জন্য পাঁচ দফা, শিক্ষার্থীদের জন্য পাঁচ দফা নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।