মাউশির মহাপরিচালক পদে নিয়োগে চতুর্থ গ্রেডের জন্যও উন্মুক্ত চান অধ্যাপক সেলিম

অধ্যাপক আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার
অধ্যাপক আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার  © টিডিসি সম্পাদিত

শিক্ষা ক্যাডারে এখন সবাই চতুর্থ গ্রেডের কর্মকর্তা হওয়ায় মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক পদটি চতুর্থ গ্রেডের কর্মকর্তাদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার আহবান জানিয়েছেন অধ্যাপক আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার। পদটিতে নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সভাপতি ও ঢাকা কলেজের সাবেক এ অধ্যক্ষ। সোমবার (৬ অক্টোবর) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে এসব কথা লেখেন তিনি।

অধ্যাপক আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার লিখেছেন, ২০১৩ সালে শিক্ষা ক্যাডারের সিডিউলভুক্ত দুটি পদ দ্বিতীয় গ্রেড হতে ১ম গ্রেডে উন্নীত হয়- ১. মহাপরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর; ২. মহাপরিচালক, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। ২ নম্বর পদটি অবৈধভাবে বেদখল বহু বছর। শিক্ষকদের সরিয়ে বেদখলকৃত কর্মকর্তাদের মেধা ও দক্ষতায় বর্তমানে দেশের ইতিহাসে প্রাথমিক শিক্ষা সবচেয়ে বেশি বিপর্যস্ত। শিক্ষার মান এমন যে, অভিভাবকরা এখন সন্তানদের সরকারি প্রাইমারির পরিবর্তে মাদরাসায় পাঠাতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। 

প্রাইমারিগুলো প্রায়ই শিক্ষার্থী শূন্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৫৫ বছর পরও সরকারি হিসেবে সাক্ষরতা হার ৭০ শতাংশ, মানে প্রায় ৬ কোটি লোক এখনো নিরক্ষর। ৭০ শতাংশ এর মান কি, তাও সহজে অনুমেয়। স্বপ্ন দেখছি- ২০৩০ সালের মধ্যে কোয়ালিটি অ্যান্ড ইনক্লুসিভ এডুকেশন নিশ্চিত, ডিজিটাল বাংলাদেশ, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের (4IR) সব সুযোগ গ্রহণ এবং ২০৪১ সালে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। স্বপ্ন দেখতে হয়, স্বপ্নের কথা বলতে হয়।

আরও পড়ুন: ৬ বছর কি ভাই হত্যার বিচার পাওয়ার জন্য যথেষ্ট না—প্রশ্ন আবরার ফাইয়াজের

তিনি আরও বলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক পদটিও ২০১৩ সালে প্রথম গ্রেডে উন্নীত হবার পর আজ ২০২৫ পর্যন্ত এ ১২ বছরে দুজন মহাপরিচালক প্রথম গ্রেড পেয়েছে, হয়তো তারা প্রভাবশালী ছিলেন বলেই সম্ভব হয়েছে। দুজনই গ্রেড পেয়েই অবসরে চলে যান। সান্ত্বনা হিসেবে গ্রেড পেয়েছিলেন। মানে ১২ বছরই ৪র্থ গ্রেডের মহাপরিচালক দিয়ে চলেছে বলা যায়। আগেই বলেছি, ১ নম্বর গ্রেডে উন্নীত হবার আগে ২ নম্বর গ্রেডের মহাপরিচালক থাকতেন। ১ নম্বর গ্রেডে উন্নীত হবার পর ৪র্থ গ্রেডের কর্মকর্তা মহাপরিচালক, সুন্দর না! এ দুর্নাম ঘুচাতে হয়ত মন্ত্রণালয় এ পদে দরখাস্ত আহবান করেছে।

বিধি অনুযায়ী ক্যাডারের শীর্ষ পর্যায়ের তিনজনের প্রস্তাব সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ড (এসএসবি) হয়ে প্রধানমন্ত্রী বা প্রধান উপদেষ্টার কাছে যাওয়ার কথা, এ তথ্য জানিয়ে অধ্যাপক আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের একটি বিজ্ঞপ্তি দেখলাম, মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক পদে কাজ করতে আগ্রহীদের আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে আবেদন চাওয়া হয়েছে। নিশ্চিত, কেউ বিদেশে থাকলে মিস্ করবেন। 

হয়তো প্রভাবশালী কেউ নেই, তাই আবেদন চাওয়া উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘পজিটিভলি নিচ্ছি। ১৬ বিসিএস ব্যাচ ও ১৪ বিসিএস ব্যাচ আবেদন করার যোগ্য। যেহেতু শিক্ষা ক্যাডারে এখন সবাই চতুর্থ গ্রেড কর্মকর্তা, পদটি চতুর্থ গ্রেডের সবার জন্য ওপেন করে দেওয়া উচিত। হয়তো সহসাই কেবিনেট সচিব বা শিক্ষা সচিব পদসহ  মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য শীর্ষ পদের ক্ষেত্রেও এমন বিজ্ঞপ্তি জারি হবে, যাতে যোগ্য ও মেধাবী কর্মকর্তা খুঁজে পাওয়া যায়।


সর্বশেষ সংবাদ