নুরকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি ছাত্রলীগ কর্মীর
- ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০১ মার্চ ২০২০, ০৪:৫২ PM , আপডেট: ০১ মার্চ ২০২০, ০৫:০৪ PM
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুরকে প্রাণনাশের হুমকি ও তাঁর এক অনুসারীকে মারধর কারার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের এক কর্মীর বিরুদ্ধে। রবিবার বিকালে ডাকসু ক্যাফেটেরিয়ার সামনে এ ঘটনা ঘটে।
ছাত্রলীগের ওই কর্মীর নাম আদনান আহমেদ নাবিল। তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ৩য় বর্ষের ও সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের আবাসিক ছাত্র। সে হল শাখা ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী। নাবিল বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসু সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) সাদ্দাম হোসেনের অনুসারী বলে জানা যায়।
জানা গেছে, নুরসহ কয়েকজন ডাকসু ক্যাফেটেরিয়ার সামনে দিয়ে যাচ্ছিল। এসময় হঠাৎ করেই নাবিল বলতে লাগল ‘এই নুর তোর সময় ১১ তারিখ পর্যন্ত। এরপর বস্তায় ভরে গুম করে ফেলব, মেরে ফেলব’। পরে নুরের সাথে থাকা শাকিল মিয়া তাকে জিজ্ঞেস করে তুমি কে? তখন নাবিল তাকে থাপ্পড় দেয়।
হামলা এবং হুমকির ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছে ডাকসু ভিপি। লিখিত অভিযোগে তিনি জানিয়েছেন, ১১ তারিখের পর আমাকে ক্যাম্পাসে থাকলে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। একপার্যায়ে আমাকে ধাক্কা দেয় ও আমার এক সহকর্মীকে মারধর করে।
মারধরের শিকার হওয়া ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো: শাকিল মিয়া বলেন, নুর (ভিপি) ভাইকে হুমকি দেওয়ার পর আমি পরিচয় জানতে চাইলে। নাবিল (অভিযুক্ত) আমাকে থাপ্পড় ও লাথি দেয়। অভিযুক্ত শিক্ষার্থী গত ২২ ডিসেম্বর ডাকসুতে হামলার সময়ও অংশ নিয়েছিল।
অভিযুক্ত ছাত্রলীগ কর্মী নাবিল বলেন, এ সব অভিযোগ মিথ্যা। বরং শাকিল (নুরুর অনুসারী) আমার বাইক ছিনতাইয়ের চেষ্টা করেছিলো। এ নিয়ে তর্ক-বিতর্ক হয়।
জানতে চাইলে ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, ক্যাফেটেরিয়ার সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় হঠাৎ করেই নাবিল আমাকে হত্যার হুমকি দেয়। তখন আমি তাকে বলি তুমি এখানে দাড়াও, প্রক্টরিয়াল টিম আসছে। তখন এই ছেলে বাইক নিয়ে চলে যেতে চাইলে শাকিল তাকে আটকানোর চেষ্টা করে। তখন ছাত্রলীগ কর্মী নাবিল তাকে থাপ্পড় দেয়। পরে প্রক্টরিয়াল টিম তাকে অফিসে নিয়ে আসে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর সীমা ইসলাম বলেন, সামান্য তর্ক-বিতর্ক হয়েছে। একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টা-পাল্টি অভিযোগ পত্র দিয়েছে। আমরা বিষয়টি মীমাংসা করে দিয়েছি।