প্রভোস্ট লাঞ্ছিত: ভিপি নুরের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ৩ নভেম্বর

  © ফাইল ফটো

প্রভোস্টকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুর এবং ভিপি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা লিটন নন্দীসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৩ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। তবে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনছারী নতুন এ দিন ধার্য করেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ১১ মার্চ ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের দিন সকালে মামলার বাদী মারজুকা রায়না রোকেয়া হলে ভোটের লাইনে দাঁড়ান। এর মধ্যে হেরে যাওয়ার ভয়ে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বানচালের চেষ্টা করেন অভিযুক্তরা। তারা গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে গুজব ছড়ান যে, ট্রাঙ্কভর্তি সিলমারা ব্যালটপেপার হলের ভেতরে রয়েছে। পাশাপাশি তারা শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করে উসকে দেন।

এক পর্যায়ে হল প্রভোস্ট ড. জিনাত হুদা শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করে বলেন, বাস্তবে তেমন কিছুই ঘটেনি। সংরক্ষিত ব্যালট পেপারগুলো সাদা। কিন্তু অভিযুক্তরা প্রভোস্টের কথা না শুনে তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত এবং শিক্ষার্থীদের গালাগাল করেন। এ সময় তারা রোকেয়া হল সংসদের দরজা-জানালা ভেঙে ফেলার চেষ্টা করেন। পরে তারা সংসদের ভেতর অনধিকার প্রবেশ করে একটি ট্রাঙ্ক বের করে আনেন। সেটি খুলে দেখা যায়, সব ব্যালট পেপারই সাদা। কোনোটিতে সিল মারা নেই।

ঘটনার দিনই ঢাবির নৃত্যকলা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মারজুকা রায়না শাহবাগ থানায় নুরসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এতে অজ্ঞাত পরিচয় আরও ৩০-৪০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।

মামলার আসামিরা হলেন- ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর এবং নির্বাচনে ভিপি প্রার্থী লিটন নন্দী, জিএস প্রার্থী ঢাবির জহুরুল হক হল ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক খন্দকার আনিসুর রহমান, জিএস প্রার্থী ছাত্র ফেডারেশনের ঢাবি শাখার সভাপতি উম্মে হাবীবা বেনজীর ও রোকেয়া হল সংসদের স্বতন্ত্র ভিপি প্রার্থী শেখ মৌসুমী।


সর্বশেষ সংবাদ