'কত টাকা টিউশন ফি দেন?' ঢাবি শিক্ষার্থীদের ড. জিনাত হুদা
- ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৭ জুন ২০১৯, ০৬:২৩ PM , আপডেট: ২৭ জুন ২০১৯, ০৬:৫২ PM
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় র্যাংকিং-এ পিছিয়ে পড়া নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে রোকেয়া হলের প্রভোস্ট ড. জিনাত হুদা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, কত টাকা টিউশন ফি দেন?
তিনি বলেন, আমি যখন ২০০০ সালে লন্ডনে পড়তে যাই তখন টিউশন ফি ছিল ৮হাজার পাউন্ড আর এখন অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৬ হাজার পাউন্ড দিতে হয়। কিন্তু আমাদের হলে ছেলেমেয়েরা ৫০টাকা ১০০টাকা দেয়। বৃহস্পতিবার বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক সিনেট অধিবেশনে এসব কথা বলেন তিনি।
ড. জিনাত হুদা আরও বলেন, আজকে মাননীয় উপাচার্য ২০টাকা ৫০টাকা বাড়াক। পারবে বাড়াতে? এসময় তিনি রোকেয়া হলে ৭মার্চ ভবন উদ্বোধনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান।
এদিকে সিনেটে ঢাঅধিবেশনে ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে ছাত্রলীগ সভাপতি রেজোয়ানুল হক চৌধুরী শোভনের বক্তব্যে হাসি-তামাশার সৃষ্টি হয়েছে। বক্তব্যে শোভন দেশের বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়ের উদাহরণ টানতে গিয়ে ‘পৃথিবীর বাইরে’ বলে ফেলায় হেসে উঠেন সিনেট সদস্যরা। এছাড়া তিনি প্রক্টরিয়াল বডির জন্য নিদিষ্ট পোশাকের কথা বলেন; যা অনেক আগেই থেকেই চালু রয়েছে। ছাত্রলীগ সভাপতি এ বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন তোলেন উপস্থিত সদস্যরা।
বক্তব্যে শোভন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দুধ-চিনি ভর্তুকি দেওয়ার কথা উল্লেখ করে বলেন, আগে প্রাইমারি স্কুলে ভর্তুকি হিসেবে বিস্কিট, দুধ, চিনি ইত্যাদি দেওয়া হতো; আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে সেরকম কোন ভর্তুকি দরকার। কারণ, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রাম অঞ্চল থেকে অনেক শিক্ষার্থী আসে।
ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন তার জন্য নির্ধারিত সময়ে এসব কথা বলেন। বক্তব্যে তিনি পৃথিবীর বাহিরের বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা উল্লেখ করে বলেন, পৃথিবীর বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে তাদের যে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন আছে, তারা সেই অ্যাসোসিয়েশনকে কাজে লাগায়। আপনারা যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনকে ব্যবহার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন করতে পারি, সেদিকে নজর দিবেন। শোভনের বক্তৃতা শুনে সিনেট সদস্যরা মুচকি হাসতে থাকেন।
ঢাবির প্রক্টরিয়াল টিমের নির্দিষ্ট পোশাক থাকা সত্যেও তিনি তাদের নির্দিষ্ট পোশাক প্রদানের কথা উল্লেখ করে বলেন, আমাদের যে প্রক্টরিয়াল বডি রয়েছে, তাদের একটি ড্রেস কোড দিলে ভালো হয়। প্রক্টরিয়াল টিমকে যদি ড্রেস দেওয়া যেত, মানুষ সেটাকে গ্রহণ করতো; শৃঙ্খলা মানার জন্য মানুষকে ভয় পেতে হবে, তাহলে প্রক্টরিয়াল টিমকে কেউ মানতেই চায় না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সিনেট সদস্য বলেন, এই ধরনের ছাত্র প্রতিনিধি সিনেটে আসবে বলে আমরা আশা করিনি। কারণ ছাত্র প্রতিনিধিদের কাছ থেকে আমরা আরো গঠনমূলক বক্তব্য আশা করি।