ডাকসুর পুনঃনির্বাচন দাবি হাস্যকর: ছাত্রলীগ

মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগ
মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগ  © সংগৃহীত

স্বচ্ছ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ডাকসু ও হল সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে দাবি করেছে ছাত্রলীগ। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের আনীত অনিয়মের অভিযোগ প্রত্যাখান করেছে সংগঠনটি। সোমবার মধুর  ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান ছাত্রলীগের সভাপতি ও ডাকসু নির্বাচনে সহ-সভাপতি (ভিপি) প্রার্থী রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন। 

তিনি বলেন, অনেকে নতুন করে ভোটের কথা বলছেন। এটা হাস্যকর। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিবেচনা করতে চাইলে সেটা তাদের ব্যাপার। আমরা গণতন্ত্রের পক্ষে, তাই আমরা নিয়ম মেনে নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। তারা কোনো সিদ্ধান্ত নিলে মেনে নেবো।

সোমবার বিকেল ৪টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মধুর ক্যান্টিনে নির্বাচন পরবর্তী জরুরি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। এতে ছাত্রলীগ প্যানেলের ডাকসু নির্বাচনে সহ-সভাপতি (ভিপি) প্রার্থী রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী গোলাম রাব্বানী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস, সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) প্রার্থী সাদ্দাম হোসেনসহ সব প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

এসময় কুয়েত মৈত্রী হল থেকে উদ্ধার করা সিলমারা ব্যালট আসল নয় দাবি করে ছাত্রলীগ নেতারা বলেন, কুয়েত মৈত্রী হলে যে ব্যালট পাওয়া গেছে, তার সঙ্গে আসল ব্যালটের মিল নেই। ২৮ বছর পর যে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, সেই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই একটি মহল কাজ করছে।

শোভন বলেন, যারা নতুন করে ভোটের কথা বলছেন, এটি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক একটি দাবি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৮টি হল রয়েছে। এর মধ্যে মাত্র দুইটি হলে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে রোকেয়া হলে ভোটকেন্দ্রে ব্যালট ভর্তি বাক্স পাওয়া যায়নি। কিন্তু নুরু, স্বতন্ত্র প্রার্থী জোট, লিটন নন্দীরা এবং ছাত্রদল— এরা সবাই একজোট হয়েছে। তারা সবাই একত্রিত হয়েছে। তারই ফল আজকের এই ঘটনা।

ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী বলেন, আমরা ১০ বছর ক্যাম্পাসে আছি। এই ১০ বছরে ক্যাম্পাসে কোনো গুলি চলেনি, কোনো ককটেল বিস্ফোরণ হয়নি। এই ১০ বছরে কোনো ক্লাস সাসপেন্ড হয়নি। ক্যাম্পাসে এখন চমৎকার একটি পরিবেশ রয়েছে। এই পরিবেশ ধরে রাখতে যা যা করা দরকার, ছাত্রলীগ করবে।

তিনি বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগকে ভালোবাসে। তাই ছাত্রলীগকে ঠেকানোর জন্য তারা সবাই একজোট হবে, সেটা সহজেই অনুমেয়। কিন্তু সকাল থেকেই সাধারণ শিক্ষার্থীরা লাইনে দাঁড়িয়েছে ভোট দেওয়ার জন্য। সবাই ছাত্রলীগকে ভালোবেসে গ্রহণ করেছে। তাই ছাত্রলীগকে ঠেকানোর জন্য অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটিয়েছে।

 


সর্বশেষ সংবাদ