নিয়োগ পরীক্ষায় প্রক্সি, প্রার্থীর সঙ্গে শ্রীঘরে সমবায় কর্মকর্তা

নিয়োগ পরীক্ষা
নিয়োগ পরীক্ষা  © প্রতিকী ছবি

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় আট লাখ টাকায় প্রক্সির মাধ্যমে পাস করেছিলেন এক প্রার্থী। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। মৌখিক পরীক্ষায় ধরা পড়েছেন ললিত মোহন রায় (২৬) নামের ওই প্রার্থী। এর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে উপজেলা সমবায় কর্মকর্তাকেও পুলিশে দেওয়া হয়েছে। তার নাম রফিকুল ইসলাম। বুধবার (১৭ আগস্ট) তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে গত মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) রাতে তিনজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম। ললিত মোহন পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার কালিবাড়ি এলাকার কামিনী রায়ের ছেলে।

রফিকুল ইসলাম ওই উপজেলার সমবায় কর্মকর্তা। তার বাড়ি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার পূর্ব গোয়াল পাড়ায়। রিয়াজুল ইসলাম (৩২) নামে আরেকজনকেও আসামি করা হয়েছে। তার বাড়ি সদর উপজেলার চন্ডীপুর এলাকায়। তিনি এলিট সমবায় সমিতি নামে প্রতিষ্ঠানের সভাপতি।

আরো পড়ুন: তিন কারণে প্যানেল সম্ভব নয়— বলছে এনটিআরসিএ

জানা গেছে, মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে উত্তীর্ণ বোদা উপজেলার পরীক্ষার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। ললিত মোহনের পরীক্ষার খাতায় লেখার সঙ্গে মৌখিক পরীক্ষায় হাতের লেখার মিল পাওয়া যায়নি। বোর্ডের সদস্যদের সন্দেহ হলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। একপর্যায়ে তিনি আট লাখ টাকা দেওয়া এবং প্রক্সির মাধ্যমে পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা স্বীকার করেন।

তিনি চাকরির জন্য সমবায় কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামকে তিন লাখ টাকা এবং রিয়াজুল ইসলামকে পাঁচ লাখ টাকা দিয়েছেন বলে জানান। পরে রফিকুল ইসলামকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ডেকে আনা হয়। তাঁদের দু’জনকেই পুলিশে সোপর্দ করে নিয়োগ বোর্ড।

পঞ্চগড় সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শামসুজ্জোহা সরকার বলেন, গ্রেফতার দু’জনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আরেক আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।


সর্বশেষ সংবাদ