একই প্রশ্নে প্রথমবার সর্বোচ্চ নম্বর দ্বিতীয়বার ফেল করলেন আদ্রিতা
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ৩০ জুলাই ২০২২, ০৩:০০ PM , আপডেট: ৩০ জুলাই ২০২২, ০৩:০০ PM
নিয়োগ পরীক্ষা একই প্রশ্নে প্রথমবার সর্বোচ্চ নম্বর পেলেও দ্বিতীয়বার যাচাইয়ের জন্য ফের পরীক্ষা দিয়ে ফেল করেছেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার মেয়ে আদ্রিতা রহমান। টাঙ্গাইলে ইউনিয়ন পরিষদের সচিব পদে নিয়োগ পরীক্ষায় এই ঘটনা ঘটেছে।
এই ঘটনায় বিবেকানন্দ স্কুল অ্যান্ড কলেজের কেন্দ্রসচিব, সহকারী কেন্দ্রসচিব ও প্রার্থীর কক্ষের ইনভিজিলেটরের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে চিঠি দিয়েছেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) আতাউল গনি।
ডিসি চিঠিতে উল্লেখ করেছেন, গত ৭ জুন ইউনিয়ন পরিষদ সচিব ও হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। ১৬ জুলাই লিখিত এবং ১৭ জুলাই ব্যাবহারিক ও মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়।
সেখানে ১২ জন প্রার্থী চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হন। আদ্রিতা সর্বোচ্চ ৬৯ নম্বর পেয়ে প্রথম হন। তিনি লিখিত পরীক্ষায় ৬০ ও ব্যাবহারিকে শূন্য এবং মৌখিক পরীক্ষায় ৯ নম্বর পান। চূড়ান্ত পরীক্ষর ফল প্রকাশিত হওয়ার পর জেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এই প্রার্থীর বিষয়ে বিস্ময় প্রকাশ করে এবং নিয়োগ কমিটির কাছে অভিযোগ করে।
নিয়োগ কমিটির সভাপতি ছিলেন জেলা প্রশাসক আতাউল গনি, সদস্য ছিলেন পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার, টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এস এম সিরাজুল হক আলমগীর, স্থানীয় সরকার বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক শামীম আরা রিনি ছিলেন সদস্যসচিব।
এদিকে ওই প্রার্থী সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে নিয়োগ পাওয়ার ফলে বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন ওঠায় অধিকতর যাচাইয়ের স্বার্থে একই প্রশ্নে তার ফের পরীক্ষা নেওয়া হয়। স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক তার কক্ষে ওই প্রার্থীর ফের পরীক্ষা নেন। পরীক্ষায় তিনি এলোমেলো আচরণ করেন এবং কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি। তার লিখিত পরীক্ষার নম্বর ও বাস্তব পরীক্ষার নম্বরের সঙ্গে অসামঞ্জস্য হওয়ায় নিয়োগ কমিটির সদস্যদের কাছে এটাই প্রতীয়মান হয়েছে তিনি যে পরীক্ষা দিয়েছিলেন কেন্দ্রের সচিব, সহকারী সচিব ও কক্ষে পরীক্ষকের সহায়তায় প্রার্থী এই অস্বাভাবিক নম্বর পেয়েছেন। এ ছাড়া পরীক্ষার কেন্দ্র প্রার্থীর মা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার নিয়ন্ত্রণাধীন হওয়ায় কেন্দ্রসচিব, সহকারী সচিব ও ইনভিজিলেটর দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের অগোচরে পরস্পর যোগসাজশে সর্বোচ্চ নম্বর পেতে সহায়তা করে থাকতে পারেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন ডিসি।
টাঙ্গাইল জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা লায়লা খানম বলেন, ‘ওই পরীক্ষায় আমার হস্তক্ষেপ বা দায়িত্ব ছিল না। পরীক্ষার সব দায়দায়িত্ব পালন করেছেন ডিসি। ’
ডিসি আতাউল গনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে যাতে কেউ এ ধরনের অপরাধ করতে না পারে সে জন্য আমরা অধিকতর তদন্তের জন্য লিখিত আবেদন করেছি।