নওগাঁয় প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের মূূলহোতা শিক্ষিকাসহ আটক ১১

প্রশ্নফাঁস চক্রের সদস্যসহ আটকরা
প্রশ্নফাঁস চক্রের সদস্যসহ আটকরা  © সংগৃহিত

সারা দেশের মতো নওগাঁতেও শেষ ধাপে অুনষ্ঠিত হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা। শুক্রবার নওগাঁ জেলা শহরের ২৫টি কেন্দ্রে ১৪ হাজার ২২৫ জন চাকরী প্রত্যাশীরা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।

এ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে কণা খাতুন নামের এক শিক্ষিকাকে আটক করেছে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার সময় নওগাঁ সদর উপজেলার বক্তারপুর ইউনিয়নের মুক্তারপাড়া গ্রামের দেওয়াপাড়া এলাকার বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়। গ্রেফতারকৃত কণা খাতুন প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের মূলহোতা মেহেদী হাসানের স্ত্রী ও জেলার বদলগাছী উপজেলার রামশাহাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা।

পুলিশ জানায়, প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের বিষয়টি জানতে পেরে চক্রের মূলহোতা মেহেদী হাসান ও তার স্ত্রী কণা খাতুনের ওপর নজর রাখে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। পরে শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সদর নওগাঁ  উপজেলার বক্তারপুর ইউনিয়নের মুক্তারপাড়া গ্রামের দেওয়াপাড়ার বাবার বাড়ি থেকে কণা খাতুনকে আটক করা হয়। এসময় চক্রের একজনকে আটক করা গেলেও অন্যদের আটক সম্ভব হয়নি।

নওগাঁ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) বদরুদ্দৌজা বলেন, কণা খাতুনের বিরুদ্ধে নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

আরও পড়ুন: শিক্ষক নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষায় প্রার্থীর হাতের লেখা যাচাই হবে

পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে শহরের বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্রে অভিযান চালিয়ে বিএমসি মহিলা কলেজ কেন্দ্র থেকে চারজন, জনকল্যাণ মডেল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে একজন, সেন্ট্রাল গার্লস স্কুল কেন্দ্র থেকে একজন ও পিএম উচ্চ বিদ্যালয় থেকে একজনকে আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে আটটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। পরে আটক পরীক্ষার্থীদের একমাসে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে।

আটককৃতরা হলেন, নওগাঁ শহরের নামাজগড় গাউসুল আজম কামিল মাদরাসার পরীক্ষার্থী জেলার বদলগাছী থানার কমলপুর গ্রামের মো. আবু তালেবের মেয়ে মোছা. আয়শা সিদ্দিকা (২৯), মহাদেবপুর উপজেলার গাজুয়া গ্রামের নজরুল ইসলামের মেয়ে মোছা. শাপলা বানু (২৫), পিএম উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থী বদলগাছী থানার গাবনা গ্রামের শরিফুল ইসলামের ছেলে মো. আসলাম হোসেন (৩০) একই থানার পশ্চিম বালুভরা গ্রামের আল আমিন (৩০), বদলগাছী থানার রুকনপুর গ্রামের আবু সালেকের ছেলে মো. জুবায়ের হোসেন (৩০), মান্দা থানার কালিকাপুর গ্রামেরআব্দুস মেয়ে মোছা. লিমা আক্তার(২২), আত্রাই থানার বান্দায়খাড়া গ্রামের শামসুর রহমান মোছা. সাফিয়া খাতুন(২৯), মহাদেবপুর উপজেলার বাগডুব গ্রামের জিল্লুর রহমানের মেয়ে জোলেখা খাতুন (২৮)। এছাড়া আরও ৪ পরীক্ষার্থীকে সাজা দেওয়া হয়। আর ২ জনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ২শ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে নওগাঁ জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান বলেন, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার কেন্দ্রগুলো এই পরীক্ষার্থীরা মোবাইল ফোন নিয়ে প্রবেশ করে পরীক্ষায় অসাদুপায় অবলম্বন করার অভিযোগে দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে তাদেরকে পরীক্ষা কেন্দ্র হতে বহিষ্কার ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে ১ মাসের বিনাশ্রম কারা দন্ড প্রদান করা হয় ও প্রশ্নফাঁস চক্রের মূল হোতাদের একজনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।


সর্বশেষ সংবাদ