বশেমুরবিপ্রবি
ধর্ষকরা নিয়মিত স্কুল-কলেজের ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করতো
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০১:৫৪ PM , আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০১:৫৪ PM
গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতরা নিয়মিত ওই এলাকার স্কুল-কলেজের ছাত্রীদের উত্যক্ত করতো।
শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর কাওরান বাজারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি বলেন, গত বুধবার রাতে ভুক্তভোগীসহ দুই শিক্ষার্থী গোপালগঞ্জ সদরের নবীনবাগ হেলিপ্যাডের সামনে থেকে হেঁটে মেসে যাওয়ার সময় কতিপয় দুর্বৃত্ত তাদের নাম ঠিকানা জিজ্ঞাসা করে বাদানুবাদে লিপ্ত হয়। একপর্যায়ে ভিকটিমকে জোরপূর্বক স্থানীয় একটি ভবনে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের ঘটনায় ওই রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামী করে গোপালগঞ্জ সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: গ্রেপ্তারকৃতরা ধর্ষণের কথা শিকার করেছে: র্যাব
মামলা দায়েরের পর র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব-৮ এর অভিযানে গতকাল শুক্রবার গোপালগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে রাকিব মিয়া, ইমন (২২), পিয়াস ফকির (২৬), প্রদীপ বিশ্বাস (২৪), মো. নাহিদ রায়হান (২৪), মো. হেলান (২৪), এবং তুর্য মোহন্ত (২৬) গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত থাকার কথা শিকার করে।
খন্দকার আল মঈন জানান, গ্রেফতারকৃতরা প্রায় ৮/১০ বছর যাবত নবীনবাগ এলাকায় বিভিন্ন স্থানে মাদক সেবন, আড্ডা, জুয়াসহ বিভিন্ন ধরণের অপকর্মে লিপ্ত ছিল। এছাড়াও তারা চুরি ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধেও জড়িত ছিল। তারা বিভিন্ন সময়ে রাস্তাঘাটে স্কুল/কলেজের ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করত। তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলাও রয়েছে। মূলত পাশবিক প্রবৃত্তি চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যেই উক্ত ন্যাক্কারজনক ধর্ষণের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে তারা স্বীকার করে।
আরও পড়ুন: স্বপ্নের ঢাবি এখন দুঃস্বপ্ন
তিনি আরও বলেন, গ্রেফতারকৃত রাকিব মিয়া ও ইমন স্থানীয় একটি মাদ্রাসা হতে দাখিল ও আলীম সম্পন্ন করে। পিয়াস ফকির পাওয়ার হাউজে দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে কাজ করে। প্রদীপ বিশ্বাস স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে ৭ম শ্রেণী পর্যন্ত অধ্যয়ন করে। সে হোম সার্ভিসের মাধ্যমে এসি ও ফ্রিজ মেরামতের কাজ করত। নাহিদ রায়হান স্থানীয় একটি কলেজে স্নাতক ২য় বর্ষে অধ্যয়ণরত। মোঃ হেলাল স্থানীয় একটি কলেজে স্নাতক ২য় বর্ষে অধ্যয়নরত। সে একটি মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানের স্থানীয় ডিস্ট্রিবিউশন সেলস অফিসার হিসেবে চাকুরী করত এবং তূর্য মোহন্ত খুলনার একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ডিপ্লোমা সম্পন্ন করে। পরবর্তীতে, সে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে অধ্যয়ণের জন্য বিদেশ গমন করে। মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ শেষ বর্ষে থাকাকালীন কোভিড পরিস্থিতির কারণে সে দেশে চলে আসে।