স্বপ্নের ঢাবি এখন দুঃস্বপ্ন
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৯:৫৪ AM , আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৯:৫৪ AM
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ‘ক’ ও ‘ঘ’ ইউনিটের ফাঁকা আসন পূরণের দাবি জানিয়েছেন অপেক্ষমাণ তালিকায় থাকা শিক্ষার্থীরা। এই দাবিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অভিনব প্রতিবাদ জানিয়েছেন ভর্তিচ্ছুরা। গত মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এই প্রতিবাদ জানান তারা।
ফেসবুকে পোস্ট করা ছবিতে দেখা গেছে, ১১ জন শিক্ষার্থী ১১টি প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে দাঁড়িয়েছেন। প্রত্যেকটি প্ল্যাকার্ডে একটি অথবা দুইটি করে শব্দ লেখা। শব্দগুলো একত্রিত করলে দাঁড়ায় ‘সিট ফাঁকা থাকা সত্ত্বেও ঢাবিতে ভর্তি হতে পারছি না। স্বপ্নের ঢাবি এখন দুঃস্বপ্ন।’
প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়ানো শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ঢাবির ‘ক’ এবং ‘ঘ’ ইউনিটে সব মিলিয়ে ২০০ এর বেশি আসন খালি আছে। কারন ‘ক’ ইউনিটে ভর্তির কাজ শেষ হবার পর আর কোন মাইগ্রেশান হয়নি। তবে অনেক শিক্ষার্থী তাদের ভর্তি বাতিল করেছে। ‘ক’ ইউনিটে ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর তারা একাধিকবার ডিন অফিসে গেলেও কর্তৃপক্ষ শূন্য আসন পূরণের বিষয়ে কিছুই জানান নি। ডিন স্যার এ বিষয়ে আমাদের সাথে কোনো কথাই বলতে চান না।
আরও পড়ুন: গুচ্ছে এবারও ‘সিলেকশন’ থাকছে!
শিক্ষার্থীরা জানান, আসন ফাঁকা থাকার প্রমাণ আমরা কর্তৃপক্ষকে প্রমাণ দেখাতে চাইলেও তারা এ বিষয়ে কর্ণপাত করেনি। কর্তৃপক্ষ আসন ফাঁকা রাখবেন এটা আগেই নোটিশ আকারে জানিয়ে দেয়া দরকার ছিল। কেননা তারা অপেক্ষমাণ তালিকার উপরের দিকে ছিলেন। আসন ফাঁকা থাকায় ঢাবিতে ভর্তির সুযোগ পাবেন এই আশায় অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হননি। ২০২১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে ৭ হাজার ৫০০ সিরিয়ালে থেকেও শিক্ষার্থীরা সাবজেক্ট পেয়েছে। অথচ ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে ৪ হাজার ৫০০ সিরিয়াল পযর্ন্ত নেয়া হয়েছে। আসন ফাঁকা থাকলেও ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীদের ডাকা হচ্ছে না।
এ প্রসঙ্গে সুলতানা নাসিরা নামে এক শিক্ষার্থী জানান, ঢাবির শূন্য আসন পূরণের দাবিতে আমরা দুই দফায় মানববন্ধন করেছি। একই সাথে উপাচার্য এবং ডিন বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছি। কিন্তু তারা আমাদের কোন কথাই কানে নেন নি। অথচ সম্প্রতি ‘খ’ ইউনিটের ২৭টি ফাঁকা আসনে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীদের ডাকা হয়েছে। একই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিন্ন ভিন্ন ইউনিটের জন্য ভিন্ন ভিন্ন নিয়ম কেন? অবিলম্বে ‘ক’ ও ‘ঘ’ ইউনিটের ফাঁকা আসনগুলো পূরণের দাবি জানাচ্ছি।