ছাত্রলীগ-যুবলীগের সংঘর্ষে নারীসহ গুলিবিদ্ধ ৯

  © সংগৃহীত

সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে ছাত্রলীগ-যুবলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ১৫ জন আহত হয়েছেন। এরমধ্যে কয়েকজন নারীসহ ৯ জন গুলিবিদ্ধ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত ডাক্তার। পুলিশ সংঘর্ষ ঠেকাতে সাত রাউন্ড রাবার বুলেট ছুড়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় এই ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, তাহিপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা রাজন চন্দ ও উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক হাফিজ উদ্দিনের মধ্যে কয়েকদিন ধরে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাজন চন্দের বাবা স্থানীয় জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক রমেন্দ্র নারায়ণ বৈশাখের ওপর হাফিজ উদ্দিনের সমর্থকরা হামলা করায় দুইপক্ষের মধ্যে এমন উত্তেজনা দেখা দেয়।

মঙ্গলবার বিকালে রমেন্দ্র নারায়ণ বৈশাখের ওপর হামলার ঘটনায় মানববন্ধনের আয়োজন করা হলে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়। পুলিশ সংঘর্ষ থামাতে রাবাট ছুড়লে গুলিবিদ্ধ হয় কয়েকজন। আহতদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ ৩ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

তারা হলেন, সুমি (৫০), আনজু মিয়া (৩০) ও অনিক মিয়া (২৫)। এ ছাড়া বাবলী চৌধুরী (৩৫), অংকন গণি (৩০), নেজারুল ইসলাম (৩০), মাসুম মিয়া (২২), রুমেন মিয়া (৩০) রুনা বেগম (৪৫), তানসেন তালুকদার তুষার (৩০), রাসেল মিয়া (৩০), পারভিন আক্তার (৪৯) ও এমদাদুল মিয়াকে (৩৫) তাহিরপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার সুমন বর্মণ জানান, সংঘর্ষে আহতদের ৯ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গুরুতর আহতদের সিলেট ও সুনামগঞ্জে স্থানান্তর করা হচ্ছে।

সাংবাদিক রমেন্দ্র নারায়ণ বৈশাখের ছেলে রাজন চন্দ জানান, সংবাদ প্রকাশের জের ধরে ২০ ফেব্রুয়ারি তার বাবা রমেন্দ্র নারায়ণ বৈশাখের ওপর হাফিজ উদ্দিন ও তার ভাতিজা আবুল বাশারসহ কয়েকজন হঠাৎ করে হামলা করে। তিনি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকালে মানববন্ধনের আয়োজন হয়।

মানববন্ধন চলাকালে হাফিজ উদ্দিনের সমর্থকরা আবারও এসে হামলা করে। এ সময় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা তানসেন তালুকদার আহত হলে তার সমর্থক ও স্বজনরা উত্তেজিত হয়। পরে দুইপক্ষে এ সময় সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষের পুলিশের রাবার বুলেটে ২ জন মহিলাসহ অনেকেই আহত হয়েছেন।

উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক হাফিজ উদ্দিন বলেন, আমি আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সালিশ বৈঠকে ছিলাম। বৈঠক শেষে বাড়ির দিকে রওয়ানা দিয়ে জানতে পারি, তানসেন তালুকদার তুষার আমার চাচাতো ভাই নাজমুল হুদা সংগ্রামকে মোটরসাইকেল দিয়ে ধাক্কা দেয়। এ নিয়ে কথা-কাটাকাটির জের ধরে দুই পক্ষে সংঘর্ষ হয়েছে।

তাহিরপুর থানার ওসি আব্দুল লতিফ তরফদার জানান, দুই পক্ষের সংঘর্ষ ঠেকাতে সাত রাউন্ড গুলি ছুড়েছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে কামরুল ইসলাম, বদরুজ্জামান, আসাদ মিয়া ও সৈয়দ গোলাম হোসেন নামের ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। উপজেলা সদরে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ