স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর ভিডিও ইন্টারনেটে, যুবকের যাবজ্জীবন

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি  © টিডিসি ফটো

প্রায় ১১ বছর আগে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের  দায়ে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। ঢাকার ৩ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত আজ মঙ্গলবার  বিকেলে এ রায় ঘোষণা করেন।

যাবজ্জীবন সাজার পাশাপাশি আসামি মো. আরিফকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে রায়ে।

অপরাধে সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত না হওয়ায় ভিকটিমের দুই বান্ধবী ফাতেমা আক্তার শান্তা ও আরিফা আক্তার ইতি এবং শান্তার ভাই শিপনকে খালাস দিয়েছেন বিচারক।

এ ট্রাইবুলানের কর্মচারী মো. কাউছার জানান, আসামির উপস্থিতিতেই এদিন রায় ঘোষণা করেন বিচারক। রায় ঘোষণা শেষে সাজাপ্রাপ্ত আরিফকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের ৩১ জুলাই বিকেলে আরিফ এবং বাকি তিন আসামির সঙ্গে ভিকটিমের কথা কাটাকাটি। পরে ৩ অগাস্ট সন্ধ্যায় ভিকটিমের পরিবার ইন্টারনেটে ভিকটিমের সঙ্গে আরিফের যৌন সম্পর্কের দৃশ্য দেখতে পায়। পরে পরিবারের জিজ্ঞাসাবাদে ভিকটিম জানায়, ওই বছরের ৭ জুন সকালে স্কুলে যাওয়ার পথে দুই বান্ধবী তাকে শান্তার বাসায় নিয়ে যায়।

সেখানে তাকে চকলেট খেতে দেওয়া হয়। চকলেট খাওয়ার পর সে অস্বাভাবিক হয়ে পড়ে এবং তার ঘুম ঘুম ভাব হয়। সকাল ১০টার দিকে আরিফ ওই বাসায় যায় এবং ভিকটিমকে ধর্ষণ করে। পরে হুমকি-ধামকি দিয়ে ভিকটিমকে বাসা থেকে বের করে দেওয়া হয়।

ওই স্কুলছাত্রীর বাবা ২০১১ সালের ৬ অগাস্ট চারজনকে আসামি করে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা করেন। একই বছরের ১৬ ডিসেম্বর যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক মাজহারুল ইসলাম চারজনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দেন।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ১৬ সাক্ষীর মধ্যে ১১ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন এ ট্রাইবুনালের বিশেষ কৌঁসুলি মাহমুদ আক্তার।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence