আসামির গাড়ি দিয়ে হাসপাতালে যাতায়াত করেন এএসপির স্ত্রী!
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৭ এপ্রিল ২০২১, ০৮:৪১ PM , আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০২১, ০৮:৪১ PM
বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার ৮৮ বোতল ফেনসিডিল বিক্রির ঘটনায় মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের আটজনকে বদলির আদেশ দিয়েছেন বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভুঞা। সদ্য প্রত্যাহার হওয়াদের একজন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আরিফুল ইসলাম সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলার আসামির দেওয়া প্রাইভেটকার ব্যবহারের অভিযোগ ওঠেছে। আরিফুল ইসলাম সিদ্দিকীর স্ত্রী ডা. শারমিন সুলতানাও গাড়িটি ব্যবহার করেন।
জানা গেছে, ৮ ফেব্রুয়ারি রাতে উপজেলার দাড়িদহ বন্দরে হাইস্কুলের সামনে প্রতিপক্ষের মারপিটে আহত হন কৃষকলীগ নেতা আজহারুল ইসলাম নান্টু (৩৫)। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৯ ফেব্রুয়ারি রাতে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের বাবা আব্দুল বাছেদ মন্ডল বাদী হয়ে ১০ ফেব্রুয়ারি শিবগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় বিএনপির নেতাকর্মীসহ ১৩ জনকে আসামি করা হয়।
বাদী অভিযোগ করেছেন, সার্কেল এএসপি আরিফুল ইসলাম এবং মামলার ২ নম্বর আসামি বিএনপি নেতা মাহবুবর আলম মানিক বগুড়ার উপশহরে একই ভবনে বসবাস করেন। সেই সুবাদে তাদের মধ্যে সখ্যতা রয়েছে। মামলার ৩ নম্বর আসামি রাসেল মাহমুদ সবুজ ২ নম্বর আসামির বিএনপি নেতা মাহবুবর আলম মানিকের ভাগ্নে। মামা ভাগ্নে যৌথভাবে সার্কেল এসপিকে সাড়ে আট লাখ টাকায় প্রাইভেটকার (ঢাকা মেট্রো-গ-২৫-১৮৫৪) কিনে দিয়েছেন। সেই গাড়িটি সার্কেল এএসপির স্ত্রী ব্যবহার করেন। উপজেলার ময়দানহাটা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এসএম রুপমও একই অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে শিবগঞ্জের সাবেক সার্কেল এএসপি আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘বাদীপক্ষের এই অভিযোগ অসত্য। এখন চেয়ারে নাই, অনেকেই অনেক কথা বলবেন। বিআরটিএ অফিসে খোঁজ নিলেই জানা যাবে গাড়িটি কার।’
মামলার আসামি রাসেল মাহমুদ সবুজ বলেন, ‘আমি রেন্টে কারের ব্যবসা করি। গাড়িটি ঘুষ কিংবা উপহার দেওয়া হয়নি। মাসিক ২০ হাজার টাকা চুক্তিতে এএসপি আরিফুল ইসলামের স্ত্রী ডা. শারমিন সুলতানাকে ভাড়া দেওয়া হয়েছে।’
বিআরটিএ অফিসে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, গাড়িটির মালিকানা রংপুর শহরের আবুল কালামের ছেলে আকতারুজ্জামানের নামে। তিনি বলেন, গাড়িটি তিনি রংপুর শহরের আরমান কার হাউসের মাধ্যমে সাড়ে আট লাখ টাকায় বিক্রি করেছেন। আরমান কার হাউসের স্বত্বাধিকারী লেলিন জানিয়েছেন, মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে গাড়িটি কিনেছেন বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার রাসেল মাহমুদ সবুজ নামের এক ব্যক্তি। তবে এখনো গাড়ির মালিকানা বদলানো হয়নি।