নুসরাতের কবর জিয়ারত পিবিআইয়ের, ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১০ এপ্রিল ২০২১, ১০:২৪ PM , আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০২১, ১০:২৪ PM
ফেনীর বহুল আলোচিত সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যার দুই বছর পূর্ণ হয়েছে আজ শনিবার (১০ এপ্রিল)। ২০১৯ সালের এই দিনে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
এদিনে নুসরাতের কবর জিয়ারত করে শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান করেছেন ফেনী পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান। এসময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক মো. শাহ আলমও ছিলেন। পরে নুসরাতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তারা কথা বলেন।
মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘নুসরাত হত্যা মামলার তদন্তে পিবিআই শুরু থেকে রায় হওয়া পর্যন্ত যুক্ত ছিল। এখনো তার পরিবারের সহযোগিতা প্রয়োজন হলে সাধ্যমতো চেষ্টা করবে পিবিআই। নুসরাত অন্যায়ের বিরুদ্ধে যে লড়াই করেছে, তার প্রতি সম্মান জানিয়ে তার কবরে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানিয়েছি।’
পিবিআইয়ের মহাপরিচালক ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার গণমাধ্যমকে জানান, পিবিআই সদর দপ্তরের নির্দেশে নুসরাতের কবরে শ্রদ্ধা জানায় পিবিআই ফেনী ইউনিট। তিনি বলেন, ‘গত বছরও আমরা তার কবরে শ্রদ্ধা জানিয়েছি। এ বছরও জানানো হয়েছে। এ মামলার তদন্তে গিয়ে আসলে মেয়েটির সঙ্গে এক ধরনের আবেগে জড়িয়ে পড়েছিলাম আমরা।’
তিনি আরও বলেন, ‘নুসরাত হত্যা মামলার তদন্তে প্রায় ১১টি ইউনিট একসঙ্গে কাজ করেছিল। তার মৃত্যুতে নিজেদের পরিবারের কাউকে হারিয়েছি। এমন অনুভূতি নিয়ে কাজ করেছি আমরা।’ এসময় নুসরাত হত্যা মামলার তদন্ত পিবিআইয়ের জন্য উদাহরণ বলে উল্লেখ করেন তিনি।
ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদ ২০১৯ সালের ২৪ অক্টোবর এ মামলার রায়ে ১৬ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেন। ওই বছরের ২৭ মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা নিজ কক্ষে ডেকে নিয়ে নুসরাতকে শ্লীলতাহানি করেন। এ ঘটনায় বাদী হয়ে মামলা করেন তার মা শিরিনা আক্তার।
এর প্রেক্ষিতে পুলিশ অধ্যক্ষকে গ্রেপ্তার করে। এরপর ৬ এপ্রিল নুসরাতের হাত-পা বেঁধে গায়ে কেরোসিন দিয়ে আগুন লাগিয়ে দেয় পাঁচ জন। এ ঘটনায় ৮ এপ্রিল আট জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন তার ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান। ১০ এপ্রিল চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় নুসরাত মারা যান।