জ্ঞান ফিরেছে, কথাও বলেছেন ইউএনও ওয়াহিদা খানম

  © সংগৃহীত

দুর্বৃত্তের হামলার শিকার হয়ে গুরুতর আহত হওয়া দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমের অস্ত্রোপচারের পর জ্ঞান ফিরেছে। তিনি কথাও বলেছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তাঁর মাথায় অন্তত ৯টি আঘাতের ক্ষত পেয়েছেন তারা।

আজ শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস অ্যান্ড হাসপাতালে তার অস্ত্রোপচারে অংশ নেওয়া চিকিৎসক জাহেদ হোসেন এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, অস্ত্রোপচারের সময় ওয়াহিদা খানমের মাথায় ৯টি আঘাতের ক্ষত দেখা গেছে। যে হাড়টি ভেঙে ভেতরে ঢুকে গিয়েছিল, তা বের করা হয়েছে। রাত দেড়টার দিকে জ্ঞান ফেরে তাঁর, কথাও বলেন। তবে তাঁর শরীরের ডান পাশ অবশ। এটি ঠিক হতে সময় লাগতে পারে বলে তিনি জানান।

বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে ওয়াহিদা খানমের অস্ত্রোপচার হয়। এতে অংশ নেন ছয়জন চিকিৎসক। সঙ্গে ছিলেন অবেদনবিদ। হাসপাতালের যুগ্ম পরিচালক অধ্যাপক বদরুল আলম রাতে জানান, তিনি পর্যবেক্ষণে আছেন।

তাঁর চিকিৎসায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মেডিকেল টিম গঠন করেছে। হাসপাতালের পরিচালক দীন মোহাম্মদ জানান, তাঁর মাথার আঘাত জটিল ও গুরুতর।

হামলার ঘটনায় যুবলীগ নেতাসহ অন্তত তিনজনকে আটকের কথা জানা গেছে। আজ শুক্রবার ভোরে র‍্যাব ও পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করে। এছাড়া বাড়ির প্রহরীকেও আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

ওয়াহিদা খানমের উপর হামলা ঘটনায় তার ভাই ফরিদ শেখ ঘোড়াঘাট থানায় মামলা করেছেন। তবে মামলায় কারো নাম উল্লেখ নেই। এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ইউএনওর বাসভবনের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, হামলায় অংশ নেয় দু’জন। একজন ছিল মুখোশ পরা। অন্যজন পিপিই পরে ছিলেন।

গত বুধবার ভোররাতে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার ইউএনও ওয়াহিদা জামান ও তাঁর বাবাকে ঘরে ঢুকে কুপিয়ে জখম করে দু’জন দুর্বৃত্ত। পরে মাথায় গুরুতর আঘাত পাওয়া ওয়াহিদা খানমকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়।

বৃহস্পতিবার রাতে জাতীয় নিউরোসায়েন্স ইনস্টিটিউট হাসপাতালে তার মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার করা হয়। অস্ত্রোপচার শেষে চিকিৎসকরা জানান, তাঁর শরীরের ডান পাশ অবশ হয়ে গেছে। সেসময় তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি চিকিৎসকরা। ওয়াহিদার বাবা রংপুর মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

ওয়াহিদা ৩১তম বিসিএসের কর্মকর্তা। তাঁর স্বামী মেসবাউল হোসেনও ওই ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা। তিনি রংপুরের পীরগঞ্জের ইউএনও। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা ওয়াহিদা খানমের বাড়ি নওগাঁর মহাদেবপুরে।


সর্বশেষ সংবাদ