বাংলাদেশকে ‘নিষিদ্ধ’ তালিকায় রাখার জন্য দুই যুক্তি ইতালির

  © সংগৃহীত

বাংলাদেশসহ ১৩টি দেশের যাত্রীদের ইতালিতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার জন্য দুটি যুক্তি দেখিয়েছে ইতালি সরকার। এরমধ্যে রয়েছে— জনসংখ্যার অনুপাতে দেশগুলোর করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) সংক্রমণ হার বেশি। দ্বিতীয়ত, দেশগুলোতে করোনা মোকাবেলার উদ্যোগ ও নিয়ন্ত্রণ খুবই সীমিত। পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতেই দেশগুলোর সঙ্গে ফ্লাইট যোগাযোগ বন্ধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইতালি।

ইতালির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে বুধবার (১৫ জুলাই) স্বাস্থ্যমন্ত্রী রবার্তো স্পেরাঞ্জার বক্তব্য প্রকাশিত হয়েছে। এর আগে গত মঙ্গলবার সিনেটে স্বাস্থ্যমন্ত্রী করোনা মোকাবেলায় ইতালির নেওয়া ব্যবস্থা তুলে ধরেন। বাংলাদেশসহ ১৩টি দেশের নাগরিকদের ইতালিতে আসা-যাওয়া নিষিদ্ধ করার মেয়াদ ৩১ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

ইতালির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সিনেটকে জানান, ইতালির সুরক্ষার উদ্যোগ কোনোভাবেই কমানো ঠিক হবে না। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও শেনজেন এলাকার বাইরে থেকে ইতালিতে ঢোকা ব্যক্তিদের ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। ভ্যাকসিন ছাড়া করোনার ঝুঁকি পুরোপুরি দূর হবে না।

তালিকায় আরও আছে আর্মেনিয়া, বাহরাইন, ব্রাজিল, কুয়েত, উত্তর মেসিডোনিয়া, বসনিয়া হার্জেগোভিনা, চিলি, মালদোভা, ওমান, পানামা, পেরু ও ডমিনিক প্রজাতন্ত্র। এই দেশগুলোর ট্রানজিট হিসেবে যাত্রাবিরতি করা ব্যক্তিরাও ৩১ জুলাই পর্যন্ত ইতালিতে ঢুকতে পারবেন না।

রবার্তো স্পেরাঞ্জা বলেন, ‘আমরা এখনো নিরাপদ নই। উপসর্গ নেই এমন ব্যক্তিদের মাধ্যমে ভাইরাস সংক্রমিত হচ্ছে। বিদেশ ফেরত ইতালীয় নাগরিক এবং বিভিন্ন দেশ থেকে আসা বা ইতালিতে যাত্রাবিরতি করা ব্যক্তিদের মাধ্যমে কভিড-১৯ প্রবেশের ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে।’

উল্লেখ্য, সম্প্রতি বাংলাদেশ থেকে ইতালিতে ফেরা অনেকেই কোয়ারেন্টিন মানছেন না বলে অভিযোগ ওঠে। পরে তাদের কয়েকজনের করোনা শনাক্ত হওয়ার পর ইতালিতে বেশ আলোচিত হয়। এরই মধ্যে বাংলাদেশে পরীক্ষার ভুয়া সনদের বিষয়টিও বিশ্বব্যাপী প্রচার হয়। এরপর বাংলাদেশ থেকে ইতালিতে যাত্রী যাওয়া বন্ধ করা হয়।


সর্বশেষ সংবাদ