ড্রেসে লোগো ছাড়া শিক্ষার্থী, চড়-লাথিতে শাসন করলেন আইডিয়াল অধ্যক্ষ
- ইলিয়াস শান্ত
- প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৮:৫৬ PM , আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০১:২২ AM
ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের এক শিক্ষার্থীর ড্রেসে লোগো না লাগিয়ে ক্লাসে আসায় চড়-লাথিতে বেড়ধক পিটিছেন স্কুল অধ্যক্ষ মাকসুদ উদ্দিন। এমনটাই অভিযোগ করেছেন ভোক্তভোগীর বড় ভাই সাদমান শারার অপল। গত বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ওই অধ্যক্ষের বিচার দাবি করেছেন।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম সোহবাত শারার সফল। সে ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুলের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। তার বাবার নাম মো. সফিউল্লাহ ভূঁইয়া। তারা রাজধানীর খিলগাঁওয়ের তালতলা এলাকার বাসিন্দা।
এদিকে তার বড় ভাই সাদমান অভিযোগ করেছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ওই স্যারের সঙ্গে ঘটে যাওয়া লেখা কাহিনী পোস্ট করেছিলেন তিনি। সেখানে অনেক ইতিবাচক-নেতিবাচক বক্তব্য ছিল মানুষের। কিন্তু স্যারের অনুসারীরা রিপোর্ট করে ওই লেখা পোস্ট মুছে দিয়েছেন। সফলের বড় ভাই সাদমানও এ ঘটনার উপযুক্ত বিচার দাবি করেছেন।
শিক্ষার্থী সোহবাত শারার সফল জানিয়েছেন, ওইদিন স্কুলের দ্বিতীয় তলায় গিয়ে আমি বাবাকে ফোন করি আমাকে স্কুল থেকে নিয়ে যাওয়ার জন্য। আমার শ্বাসকষ্টের কারণে খুব কষ্ট হচ্ছিল। এসময় এক পিয়ন আমার শার্টে ব্যাজ নাই বলে কথা শুনাচ্ছিলো। পাশ থেকে মাকসুদ স্যার পিয়নের কথা শুনে হঠাৎ আমাকে এক চড় দিলে আমি বুক সেল্ফের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে নিছে পড়ে যাই। তখনি তিনি আমাকে লাথি, ঘুসি-কিল মারতে থাকেন।
সোহবাত জানান, সামান্য একটা লোগোর জন্য কেউ এভাবে মানুষ তো পরের কথা, কুকুরকেও মারে না। আমি চাই, যতটুকু অপমান-ব্যথা আমি পেয়েছি তার সুষ্ঠু বিচার হোক।
সফলের বাবা সফিউল্লাহ জানিয়েছেন, আমাকেও সে কিছু বলে নাই, যখন আমি ওকে আনতে যাই স্কুলে ও বসে বসে কাঁদতেছিল। আমি কিছুই বুঝি নাই। আমার ছোট ছেলে বলতে ছিল ওকে নাকি স্যার মারছে। আমি এটাও বুঝি নাই যে স্যার এভাবে মারছে। তিনি বলেন, আমাকে সবাই বলছে আদালতে অভিযোগ করতে। তবে আমরা আগামীকাল রবিবার এলাকার মানুষ সবাই যাবো, স্যার এই ব্যাপারে কি বলতে চায় তা শুনবো। স্যারের কথা শুনে এরপর আমারা প্রয়োজনে আইনি সহায়তা নিবো। এ বিষয়ে কোন ছাড় দেওয়া হবে না বলেও জানান তিনি।
তবে অধ্যক্ষ মাকসুদ উদ্দিনের কাছে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের ব্যাপারে মুঠোফোনে একাধিকবার জানতে চাওয়ার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।