গরু চুরিতে বাধা দেওয়ায় নিজ স্ত্রীর হাতে প্রাণ গেল কৃষকের

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি  © সংগৃহীত

ঋণের টাকা পরিশোধের চাপ সামলাতে স্বামীর অজান্তে গোয়ালঘরের গরু চুরি করে বিক্রিতে বাধা দেওয়ায় নিজের স্ত্রীসহ পাঁচজনের হাতে প্রাণ হারিয়েছেন কৃষক হেলাল উদ্দিন (৫৮)। নেত্রকোনা সদর উপজেলার নাড়িয়াপাড়া গ্রামের এ হত্যাকাণ্ডে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন নিহতের স্ত্রী বেদেনা আক্তার। 

মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নেত্রকোনা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) চম্পক দাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

পুলিশ জানায়, বেদেনা আক্তার বিভিন্ন সময় কয়েকজনের কাছ থেকে এক লাখ টাকা ঋণ নেন। পাওনাদারদের তাগাদায় তিনি বাবার বাড়ির এলাকা বারহাট্টা উপজেলার সেমিয়া দুধকুড়া গ্রামের লিটন মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করে স্বামীর গরু চুরি করে বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন।

গত শনিবার রাতে লিটন মিয়া, সদর উপজেলার নাড়িয়াপাড়া গ্রামের রিয়েল মিয়াসহ চারজন নিয়ে গরু চুরি করতে গেলে বিষয়টি টের পান হেলাল উদ্দিন। তিনি বাধা দিতে গেলে স্ত্রীসহ পাঁচজন মিলে তাকে মুখ ও হাত-পা বেঁধে গলা কেটে হত্যা করেন।

এর আগে গত রবিবার ভোরে নিজ বাড়ি থেকে হেলাল উদ্দিনের হাত-পা ও মুখ বাধা অবস্থায় গলা কাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত হেলাল উদ্দিন নাড়িয়াপাড়া গ্রামের মৃত আশ্রাব আলীর ছেলে।

এ ঘটনায় গত সোমবার নিহতের ছোট ভাই রিয়াজ উদ্দিন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন। পরে হেলাল উদ্দিনের স্ত্রী বেদেনা আক্তারসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গ্রেপ্তার অপর দুই হলেন রিয়েল মিয়া (৪০) ও লিটন মিয়া (৫০)।

এ বিষয়ে পরিদর্শক চম্পক দাম জানান, বেদেনা আক্তারের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে লিটন মিয়া ও রিয়েল মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। লিটন মিয়ার বিরুদ্ধে পাঁচটি চুরির মামলা রয়েছে।

নেত্রকোনা মডেল থানার ওসি মো. আল মামুন সরকার বলেন, অল্প সময়ের মধ্যেই হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ উদ্‌ঘাটন ও জড়িতদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।


সর্বশেষ সংবাদ

X
APPLY
NOW!