রাজধানীর ফ্ল্যাটে মা-মেয়েকে খুন, বোরকা পরে ঢুকে স্কুল ড্রেসে বের হন গৃহকর্মী!
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:৩৪ PM , আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:৩৭ PM
রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে মালাইলা আফরোজ (৪৮) নামে এক গৃহিণী ও তার মেয়ে নাফিসা বিনতে আজিজ (১৫)-এর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (৮ নভেম্বর) সকালে মোহাম্মদপুরের শাহজাহান রোডের একটি বাসা থেকে তাদের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
জানা গেছে, নিহত নাফিসা মোহাম্মদপুরের প্রিপারেটরি স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার বাবা এম জেড আজিজুল ইসলাম উত্তরার সানবিমস স্কুলে ফিজিক্স এর শিক্ষক।
ঘটনার পর ভবনের সিসিটিভি ফুটেজও সংগ্রহ করেছে পুলিশ। ফুটেজে দেখা গেছে, সকাল ৯টা ৩৬ মিনিটে সাদা সালোয়ার কামিজ, প্রিন্টের ওড়না ও পায়ে কেডস পরে ভবনের সিঁড়ি দিয়ে ধীরস্থিরভাবে নেমে আসছেন এক তরুণী। তার পিঠে ব্যাগ ও মুখে মাস্ক ছিল। এ সময় ভবনের প্রধান প্রবেশপথে তিনজন বসেছিলেন। ওই তরুণী বের হওয়ার সময় তাদের একজন উঠে দাঁড়িয়ে গেট খুলে দেন। পরে ভবন থেকে বেরিয়ে ওই তরুণী অটোরিকশায় উঠে চলে যান।
আজিজুল ইসলাম বলেন, আমাদের বাসায় একজন কাজের মহিলা দরকার ছিল। সাধারণত গেটে অনেকেই কাজের সন্ধানে আসে। চার দিন আগে একটি মেয়ে আসে। বাসার দারোয়ান খালেকের কাছে কাজের সন্ধান করলে সে আমাদের বাসায় পাঠিয়ে দেয়। এরপর আমার স্ত্রী মেয়েটির সঙ্গে কথা বলে কাজে রেখে দেয়। পরে আমি স্ত্রীর মুখে শুনেছি, মেয়েটার নাম আয়েশা। বয়স আনুমানিক ২০ বছর। তার গ্রামের বাড়ি রংপুর। জেনেভা ক্যাম্পে চাচা-চাচির সঙ্গে থাকে। বাবা-মা আগুনে পুড়ে মারা গেছে। তার শরীরেও আগুনে পোড়ার ক্ষত রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, মেয়েটা কাজ শুরুর পর প্রথম দুদিন সময়মতো এসেছে। গতকাল সে সাড়ে ৯টার দিকে আসে। আজ কী হয়েছে এটা তো আর বলার অবস্থায় নেই।
পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ কমিশনার ইবনে মিজান বলেছেন, ঘটনার আগে-পরে ওই বাসায় একজনের আসা যাওয়াই দেখা গেছে। সিসি ক্যামেরা ফুটেজে আমরা একজনই দেখেছি, পরে দেখব আশেপাশে আরও কেউ ছিল কি না। পরে জানতে পারব তার সাথে আশেপাশে কেউ ছিল কি না।
তিনি আরও বলেন, আমরা ঘটনার সঙ্গে তার প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে কাজ করছি। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করছি, হত্যার আগে পরে তার উপস্থিতি ও অ্যাকটিভিটিজ বিশ্লেষণ করে পরবর্তী তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাব।