যে মামলায় গ্রেফতার হলেন হিরো আলম
সাবেক স্ত্রী রিয়া মনির দায়ের করা মামলায় আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমকে গ্রেফতার করেছে হাতিরঝিল থানা পুলিশ। শনিবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে নিশ্চিত করেছেন হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাজু।
এর আগে গত বুধবার (১২ নভেম্বর) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াহিদুজ্জামানের আদালত হিরো আলমের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। একই মামলায় অপর এক আসামি আহসান হাবিব সেলিমের বিরুদ্ধেও পরোয়ানা জারি করা হয়।
হাতিরঝিল থানায় দায়ের করা মামলায় রিয়া মনি অভিযোগ করেন, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্যের জেরে হিরো আলম তাকে তালাক দিয়ে বাসা থেকে বের করে দেন। পরে ২১ জুন মীমাংসার কথা বলে হাতিরঝিল থানাধীন এলাকায় একটি বাসায় ডেকে নেন। সেখানে হিরো আলমসহ ১০–১২ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি তাকে এবং তার পরিবারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। পরবর্তীতে তারা বাদীর বর্তমান বাসায় বেআইনিভাবে প্রবেশ করে কাঠের লাঠি দিয়ে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশে মারধর করেন। এতে রিয়া মনি গুরুতর জখম হন। একই সঙ্গে তার গলায় থাকা দেড় ভরি ওজনের সোনার চেইন চুরি করে নেওয়া হয় বলে এজাহারে উল্লেখ রয়েছে।
আরও পড়ুন: হিরো আলম গ্রেফতার
হত্যাচেষ্টা, মারধর ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগে গত ২৩ জুন রিয়া মনি মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় হিরো আলমের সঙ্গে আহসান হাবিব সেলিমকে আসামি করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধেও আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী জিয়াউর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘আসামিরা জামিনের শর্ত ভঙ্গ করেছেন। তারা নিয়মিত আদালতে হাজিরা দিচ্ছিলেন না। এজন্য আমরা তাদের জামিন বাতিল চেয়ে আবেদন করি। আদালত শুনানি শেষে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেন। আজ মূল আসামি হিরো আলমকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, দাম্পত্য কলহের জেরে হিরো আলম প্রথমে রিয়া মনিকে তালাক দিয়ে বাসা থেকে বের করে দেন। এরপর ২১ জুন মীমাংসার নামে হাতিরঝিল এলাকায় একটি বাসায় ডেকে নেন। সেসময় হিরো আলম ও ১০–১২ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি রিয়া মনি ও তার পরিবারের সদস্যদের অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন এবং পরে বাদীর বর্তমান বাসায় গিয়ে কাঠের লাঠি দিয়ে মারধর করেন। এতে তার শরীরে জখম সৃষ্টি হয় এবং গলার ‘দেড় ভরি’ সোনার চেইন নিয়ে যায় অভিযুক্তরা।
প্রসঙ্গত, গত ২৩ জুন দায়ের করা এজাহারেও একই অভিযোগ উল্লেখ করা হয়— মীমাংসার কথা বলে বাসায় ডেকে নিয়ে ১০–১২ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির সঙ্গে দুই আসামি মিলে হত্যার উদ্দেশ্যে রিয়া মনিকে পিটিয়ে আহত করেন এবং তার স্বর্ণের চেইন নিয়ে যান।