পটুয়াখালীতে ভুয়া ডাক্তারকে এক মাসের কারাদণ্ড
- কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:৫৭ PM
পটুয়াখালীর কলাপাড়ার মহিপুরে দীর্ঘদিন ধরে দাঁতের চিকিৎসক সেজে প্রতারণা করায় হারুন অর রশীদ (৩৮) নামের এক ব্যক্তিকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ছয়টার দিকে মহিপুর সদরের এশিয়া ডেন্টাল কেয়ারে অভিযান চালিয়ে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াসীন সাদেক এ দণ্ড দেন।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ছয় বছর ধরে নিজের নামের আগে ‘ডাক্তার’ উপাধি ব্যবহার করে দাঁতের চিকিৎসা দিচ্ছিলেন হারুন অর রশীদ। প্রতি রোগীর কাছ থেকে তিনি ৩০০–৫০০ টাকা পর্যন্ত ফি নিতেন। শুধু দাঁতের চিকিৎসক নয়, কখনো কখনো তার ভাই আব্দুল হাকিমের ব্যবস্থাপত্রে চোখের চিকিৎসক সেজেও রোগী দেখতেন। আব্দুল হাকিমও কলাপাড়ায় দাঁতের চিকিৎসক পরিচয়ে চিকিৎসা দিয়ে আসছেন এবং মহিপুরে নিজেকে চক্ষু বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচয় দেন।
গত ৯ সেপ্টেম্বর চার বছরের শিশু আদনানকে চিকিৎসা করাতে গিয়ে এই প্রতারণার কাহিনি প্রকাশ পায়। শিশুটির পরিবার চক্ষুসেবা কেন্দ্রের মালিক আব্দুল হাকিমের কাছে গেলে তাকে না পেয়ে সাইনবোর্ডে থাকা নম্বরে ফোন করেন। ফোনে হাকিম পরিচয় দিলেও পরে তার ভাই হারুন হাকিম সেজে রোগী দেখেন। ঘটনাটি দ্রুত এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে এবং প্রশাসনের নজরে আসে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াসীন সাদেক বলেন, হারুন অর রশীদ দীর্ঘদিন ধরে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ২০১০-এর ২৯ ধারায় তাকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মহিপুর থানার ওসি (তদন্ত) অনিমেষ হালদার বলেন, রায় ঘোষণার পর দণ্ডপ্রাপ্ত হারুনকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া চলমান।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, স্বাস্থ্যসেবার নামে এ ধরনের প্রতারণা গ্রামীণ স্বাস্থ্য ব্যবস্থার তদারকির দুর্বলতা তুলে ধরছে। তাদের পরামর্শ, শুধু অভিযান নয়—নিয়মিত মনিটরিং, সনদ যাচাই ও জনসচেতনতা বৃদ্ধি জরুরি, যাতে ভবিষ্যতে আর কোনো রোগী প্রতারিত না হন।