সেপটিক ট্যাংকে শিশুর লাশ, স্থানীয়দের ধারণা ধর্ষণের পর হত্যা— যুবক আটক
- ফেনী প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৮ আগস্ট ২০২৫, ১১:৩২ AM , আপডেট: ২৯ আগস্ট ২০২৫, ১০:১৫ PM
ফেনীতে পরিত্যক্ত একটি সেপটিক ট্যাংক থেকে ছয় বছরের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় রাসেল (১৮) নামের এক যুবককে আটক করা হয়েছে। বুধবার (২৭ আগস্ট) রাত আনুমানিক ১২টার দিকে সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের মাথিয়ারা সোনালী ব্রিকফিল্ড এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। আটককৃত রাসেল ময়মনসিংহের গৌরিপুর উপজেলার কলতাপাড়া গ্রামের নূর হোসেনের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাথিয়ারা এলাকার ওই মেয়েটি বুধবার দুপুরের দিকে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন। আশপাশের এলাকায় স্বজনরা মাইকিং করে খোঁজ করলেও তার সন্ধান মেলেনি। রাত সাড়ে ১১টার দিকে স্থানীয়রা খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে সেখানকার সোনালী ব্রিকসের পরিত্যক্ত সেপটিক ট্যাংকের পাশে মেয়েটির জামা দেখতে পান। পরে সেখানে পরিত্যক্ত একটি সেপটিক ট্যাংকের পানিতে ডুবন্ত অবস্থায় শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তখন ব্রিকফিল্ডে কর্মরত রাসেল নামে এক যুবককে সন্দেহজনকভাবে আটক করে স্থানীয়রা পুলিশে সোপর্দ করেন।
কামাল উদ্দিন আহমেদ নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, এটি অত্যন্ত মর্মান্তিক ঘটনা। শিশুটির মরদেহ উদ্ধারের সময় শরীরে কোনো কাপড় ছিল না। ধারণা করা হচ্ছে তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য নূর নবী বলেন, আটক ছেলেটি প্রায় দুই বছর ধরে ওই ব্রিকফিল্ডে কাজ করেন। তার বাড়ি ময়মনসিংহে। মেয়েটির বাবার বাড়ি ভোলা ও মায়ের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলায় হলেও কাজের সুবাদে তারা মাথিয়ারায় একটি কলোনিতে বসবাস করতেন। পূর্ব থেকে মেয়েটি রাসেলকে চিনতেন। সে দুপুরে মেয়েকে ব্রিকফিল্ডে এনে খাবার দেন। পরে ধর্ষণ করে হত্যা করে মরদেহ সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দিয়েছে বলে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন।
এ ব্যাপারে ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আরিফুল ইসলাম সিদ্দিকী বলেন, এ ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় ইতোমধ্যে এক যুবককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আইনানুযায়ী পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।