ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে কৃষি কর্মকর্তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

  © সংগৃহীত

বাসায় ডেকে নিয়ে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা জাকিরুল ইসলাম মিলনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন রংপুরের একটি আদালত। একইসঙ্গে তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার অর্থ ভিকটিমকে দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত। অসুস্থ মায়ের মাথায় পানি দেওয়ানোর কথা বলে বাসায় ডেকে নিয়ে তিনি ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত-২ এর বিচারক রোকনুজ্জামান এ রায় দেন। ২০০৫ সালের ৪ জুলাই রংপুরের বদরগজ্ঞ উপজেলার রামনাথপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আসামিপক্ষের আইনজীবী আব্দুর রশীদ চৌধুরী রায় ঘোষণার সময় আদালতে ছিলেন না।

সরকার পক্ষের আইনজিবী বিশেষ পিপি জাহাঙ্গীর আলম তুহিন সাংবাদিকদেরকে বলেন, ‘দেরিতে হলেও ভিকটিম ন্যায়বিচার পেয়েছে। এ রায় ধর্ষকদের জন্য একটি বার্তা।’

বিচারক রায় ঘোষণার সময় পর্যবেক্ষণে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই নজরুল ইসলামের ভর্ৎসনা করে বলেন, ‘ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়ার পর তাৎক্ষণিক ভাবে ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা করেননি। ফলে ডাক্তারি পরীক্ষার প্রতিবেদনে ধর্ষণের কোনও আলামত মেলেনি। ডাক্তারও সঠিকভাবে তার দায়িত্ব পালন করেননি।’

আরও বলেন, ‘আসামি তার মায়ের অসুস্থতার কথা বলে বাসায় ডেকে এনে ধর্ষণ করেছে, এটা জঘন্য অপরাধ। মামলায় ১৫ জন সাক্ষী সন্দেহাতীতভাবে মামলাটি প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী আদালতের কাছে বিশ্বাসযোগ্য কোনও এভিডেন্স উপস্থাপন করতে পারেননি।’ এসময়  ঘটনার সময় আসামির বয়স বিবেচনা করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন বলে জানান বিচারক।

মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়েছে, রামনাথপুর গ্রামের আব্দুল মালেকের অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া শিশুকে পাশের বাড়ির আনসার আলীর ছেলে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জাকিরুল ইসলাম মিলন বাসায় ডেকে নেন। মায়ের মাথায় পানি দেওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে ঘরের মধ্যে আটকে তাকে হাত-পা বেঁধে ধর্ষণ করেন।

এ ঘটনায় আব্দুল মালেক বাদী হয়ে বদরগজ্ঞ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলাটি দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ওই বছরেরই ৬ সেপ্টেম্বর চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামি জাকিরুল ইসলাম মিলনকে দোষি সাব্যস্ত করেন আদালত।


সর্বশেষ সংবাদ