সাংবাদিকের ওপর হামলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই একজন গ্রেফতার
- আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৩ আগস্ট ২০২৫, ০৯:৪০ AM , আপডেট: ১৩ আগস্ট ২০২৫, ০২:২৭ PM
বাঁশখালীর কুতুবদিয়া চ্যানেলে অবৈধ বালু উত্তোলনের সংবাদ প্রকাশের জেরে দৈনিক সময়ের আলো ও সময়ের কন্ঠস্বরের বাঁশখালী প্রতিনিধি মোহাম্মদ বেলাল উদ্দিনের ওপর হামলা চালানোর ঘটনায় নিজাম উদ্দিন (৩০) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) বিকেলে হামলার ঘটনায় মামলার এজাহার দায়েরের মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অর্থাৎ এদিন রাতেই কোতোয়ালী থানা পুলিশের এক সাঁড়াশি অভিযানে গ্রেফতার করা হয় নিজাম উদ্দিনকে। জানা যায়, তিনি কাথরিয়া ইউনিয়নের অলি আহমদের ছেলে।
সাংবাদিক বেলালের ওপর হামলার ঘটনায় মামলার আসামিরা হলেন— বাঁশখালী উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক রাসেল চৌধুরী, ছাত্রদল নেতা মোহাম্মদ নুরুন্নবী ও নিজাম উদ্দিন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বাঁশখালীর বিএনপি নেতা রেজাউল হক চৌধুরীর অবৈধ বালু উত্তোলন নিয়ে গত ৪ জুলাই একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেন সাংবাদিক বেলাল উদ্দিন। এরপর থেকেই তিনি নানাভাবে হুমকির শিকার হচ্ছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায়, মঙ্গলবার বিকেলে অভিযুক্ত নিজাম উদ্দিন সাংবাদিক বেলালকে ফোন করে ‘জরুরি তথ্য দেওয়ার’ কথা বলে চট্টগ্রাম নগরের আন্দরকিল্লা মোড়ে আসতে বলে। বেলাল সেখানে পৌঁছানো মাত্রই পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী নিজাম, মোহাম্মদ নুরুন্নবী, রাসেল চৌধুরীসহ অজ্ঞাত আরও ২-৩ জন তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। ‘রেজাউল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে নিউজ করেছিস কেন? তোকে আজ মেরেই ফেলব’—এই বলে তারা বেলালের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি মারধর করে। তার চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
আরও পড়ুন: ‘তোর মতো সাংবাদিককে মেরে ফেললে কী হবে?’ বলেই হামলা, নেপথ্যে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে নিউজ
এই ঘটনায় অভিযুক্ত বাকি আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল করিম। তিনি বলেন, সাংবাদিক সমাজের দর্পণ। তাদের ওপর হামলা মানে গণতন্ত্রের ওপর হামলা। আমরা ঘটনাটি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখেছি। মামলা রেকর্ড হওয়ার সাথে সাথেই আমার নির্দেশে একাধিক টিম মাঠে নামে।
তিনি বলেন, প্রযুক্তির সহায়তায় আমরা অভিযুক্তের অবস্থান নিশ্চিত করে দ্রুততম সময়ে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে। অপরাধী যেই হোক, কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।