দুর্নীতির অভিযোগে প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত
- ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৫, ১১:৫২ AM , আপডেট: ৩০ জুলাই ২০২৫, ০৬:২৫ PM
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর শহীদ বাবুল উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জহীরুল ইসলামকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. মোফাজ্জল হোসেন ভূঁইয়ার স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে গত বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি জানায়, গত ৭ জুলাই অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নৈতিক স্খলন, অর্থনৈতিক অনিয়ম, পেশাগত অসদাচরণ ও দায়িত্বে অবহেলাসহ মোট ১৭টি অভিযোগ উত্থাপন করা হয়। এ প্রেক্ষিতে, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী চাকরি বিধিমালা ৫১(১) ধারা অনুসারে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তাকে ১০ কর্মদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হলেও তিনি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোনো জবাব দেননি বলে জানিয়েছে কমিটি।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. মোফাজ্জল হোসেন ভূঁইয়া বলেন, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির একাধিক অভিযোগ পেয়ে একটি নিরীক্ষা কমিটি গঠন করা হয়। তদন্তে তার আর্থিক লেনদেনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনৈতিক কার্যকলাপের প্রমাণ পাওয়া গেছে। সে প্রেক্ষিতেই বিধি অনুযায়ী তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এছাড়া অভিযোগগুলোর সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করতে কসবা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পরই পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান সভাপতি।
এদিকে প্রধান শিক্ষক মো. জহীরুল ইসলাম অভিযোগগুলোকে সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, ১৫ বছরের হিসাব ১০ কর্মদিবসে দেওয়া সম্ভব নয়—সেজন্য আমি সময় চেয়েছি। বিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজের স্বচ্ছতা বজায় রাখতে গিয়ে একটি চক্র আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তিনি আরো জানান, বিষয়টি লিখিতভাবে জেলা শিক্ষা অফিসারকে জানিয়েছেন এবং তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন।
কসবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ছামিউল ইসলাম বলেন, প্রধান শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্তের বিষয়ে পরিচালনা কমিটি আমাকে অবহিত করেছে। তবে নিয়ম অনুযায়ী বরখাস্তের আগে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে আহ্বায়ক করা বাধ্যতামূলক। এখানে সেই প্রক্রিয়া অনুসরণ না করেই বরখাস্ত করা হয়েছে।