ছাত্রলীগ নেতার ছুরিকাঘাতে হাফেজ নিহত, ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন
- মির্জা নাদিম, গাজীপুর থেকে
- প্রকাশ: ২২ জুলাই ২০২৫, ০১:১৭ PM , আপডেট: ২৩ জুলাই ২০২৫, ১২:৪৯ PM
গাজীপুরের টঙ্গীর এরশাদ নগরের ৩ নম্বর ব্লকে দিনদুপুরে হাফেজ মো. কামরুল ইসলাম জিহাদীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করার ঘটনায় টঙ্গীজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। আজ সোমবার (২২ জুলাই) সকালে তার হত্যার বিচারের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয়রা।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, ৪৯ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও একাধিক হত্যামামলার আসামি সাব্বির এবং তার স্ত্রী সুলতানা পরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। তারা অবিলম্বে এই দম্পতির ফাঁসির দাবি জানান।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, হাফেজ কামরুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় মসজিদে তারাবির ইমামতি করতেন এবং 'মুসলিমীন পরিবার' নামে একটি সামাজিক সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন। তাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
আজ সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে এরশাদ নগরের বড় বাজার এলাকায় জড়ো হয়ে স্থানীয়রা মিছিলসহ মহাসড়কে অবস্থান নেন। মানববন্ধন থেকে তারা ‘ফাঁসি চাই খুনি সাব্বিরের’, ‘সুলতানার ফাঁসি চাই’—এমন স্লোগানে সড়ক মুখর করে তোলেন।
এ সময় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বলেন, ‘এই খুনের যথাযথ বিচার না হলে আমরা বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করব, প্রয়োজনে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করব।’
এ বিষয়ে টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি ফরিদুল ইসলাম জানান, ‘প্রাথমিক তদন্তে দেখা যাচ্ছে, পারিবারিক সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও স্ত্রীকে কেন্দ্র করে সাব্বির ও কামরুল ইসলামের মধ্যে বৈরিতা তৈরি হয়েছিল। এই দ্বন্দ্ব থেকেই হত্যাকাণ্ডের সূত্রপাত। সাব্বির ও তার স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে এবং তাদের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ঘটনার সঙ্গে আর কেউ জড়িত আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তের স্বার্থে কিছু তথ্য আপাতত প্রকাশ করা যাচ্ছে না।’
উল্লেখ্য, গত ১৫ জুলাই রাতে টঙ্গীর দত্তপাড়া এলাকায় হাফেজ কামরুল ইসলামের ওপর অতর্কিত ছুরিকাঘাত চালানো হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে ও পরে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হলে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।