উদ্যানে রাত পৌনে ১২ টায় খাবার খেতে গিয়েছিলেন সাম্য, ট্রেজার গান দেখতে চাওয়ায় খুন
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৭ মে ২০২৫, ০৮:৪১ PM , আপডেট: ২৯ মে ২০২৫, ০৪:০৯ PM
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খাবার খেতে গিয়ে মাদক কারবারিদের কাছ থেকে ট্রেজার গান দেখতে চান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য। সেই ট্রেজার গান দেখতে চাওয়া নিয়ে তাৎক্ষণিক ধস্তাধস্তিতে মাদক কারবারিদের সুইস গিয়ারের ছুরিকাঘাতে তিনি (সাম্য) নিহত হন বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো.সাজ্জাত আলী।
আজ মঙ্গলবার (২৭ মে) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন’ সংক্রান্ত এক সংবাদ সন্মেলনে এসব বলেন তিনি।
এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে তিনজনকে ঘটনার দিন রাতে এবং আট জনকে নতুন করে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার আট জন হলেন- রাব্বী, মেহেদী, পাভেল, রিপন, সোহাগ, রবিন, হৃদয়, সুজন সরদার।
আরও পড়ুন: ঢাবি ছাত্রদল নেতা সাম্য হত্যাকাণ্ডে জড়িত মাদকচক্র, আসামির স্বীকারোক্তি
ডিবি সূত্রে জানা যায়, গত ১৩ মে রাত অনুমান ১১.৪৫ ঘটিকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ছাত্র এস এম শাহরিয়ার আলম সাম্য (২৫) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নির্মমভাবে খুন হন। চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু হয়। ঘটনা সংঘটনের সাথে সাথেই ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশ ঘটনার রহস্য উদঘাটন, আসামি গ্রেফতার ও আলামত উদ্ধারের নিমিত্ত তাৎক্ষণিকভাবে কাজ শুরু করে এবং ঘটনার রাতেই তিন জনকে আহত অবস্থায় গ্রেফতার করে।
কমিশনার শেখ মো.সাজ্জাত আলী বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনেক ফুডকোর্ট আছে। সেখানে অনেক রাত পর্যন্ত খাবার পাওয়া যায়। আমরা এখন পর্যন্ত জানতে পেরেছি, সাম্য এবং তার দুই সহপাঠী খাবারের জন্য সেখানে যায়। খাবারের জন্য গেলে ট্রেজার গানটি দেখে সাম্যের সন্দেহ হয়। জিনিসটা কি সেটি দেখার জন্য এবং সেটি নিতে গেলে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: ঢাবি শিক্ষার্থী সাম্য হত্যার ঘটনায় প্রতিবেদন জমা দিল তদন্ত কমিটি
তিনি বলেন, তদন্ত কার্যক্রম এখনো চলমান আছে। তাৎক্ষণিকভাবে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনার প্রেক্ষিতে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে এখন পর্যন্ত আমরা পেয়েছি৷ এর নেপথ্যে আর কোনো ঘটনা আছে কি না, অন্য কোনো বিষয় আছে কি না সেটি নিবিড়ভাবে দেখা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা তদন্ত করতে গিয়ে দেখেছি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মাদক কারবারিদের তিনটি গ্রুপে ভাগ করা। একটি গ্রুপ তিন নেতার মাজারের পাশে, একটি মাঝখানে, একটি ছবির হাঁটে মাদক কারবার পরিচালনা করে। একটি গ্রুপের দায়িত্বে আছে মেহেদী। যে ৮ জন গ্রেফতার হয়েছে সবাই মেহেদীর গ্রুপের। সে ওই গ্রুপের দলনেতা। মেহেদী মূলত সুইস গিয়ারগুলো সাপ্লাই দিয়ে থাকেন। ঘটনার দিন একটি কাল ব্যাগে করে মেহেদী সুইস গিয়ারগুলো আনে এবং তাৎক্ষণিকভাবে বাকিদের কাছে সরবরাহ করে।