মৃত্যুর ছায়া হয়ে মহাসড়কের দু’পাশে দাঁড়িয়ে শতবর্ষী গাছ

নাভারনের ব্যস্ত মহাসড়কের দু’পাশে দাঁড়িয়ে শতবর্ষী মরা গাছ
নাভারনের ব্যস্ত মহাসড়কের দু’পাশে দাঁড়িয়ে শতবর্ষী মরা গাছ  © টিডিসি ফটো

নাভারনের ব্যস্ত মহাসড়কে প্রতিদিন ছুটে চলে হাজারো যানবাহন। স্কুলগামী শিশু, কর্মস্থলে ছুটে চলা শ্রমিক, বাজার করতে যাওয়া গৃহিণী—সবার চলাচলের একমাত্র পথ এ সড়ক। কিন্তু এই পথের দু’পাশে শতবর্ষী রেইনট্রি গাছগুলো আজ আর ছায়াদানকারী নিঃশব্দ প্রহরী নয়। তারা যেন একেকটি মৃত্যুবাহী ছায়া।

জানা গেছে, নাভারন-সাতক্ষীরা এবং নাভারন-বেনাপোল মহাসড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা শতাধিক গাছের মধ্যে অর্ধেকই মৃত বা অর্ধমৃত। অনেক গাছের ডাল ইতোমধ্যে পচে গেছে। ঝড় তো দূরের কথা, সামান্য বাতাসেই এই ডালপালা ভেঙে পড়ে চলাচলরত যানবাহনের ওপর। ঘটছে দুর্ঘটনা, আহত হচ্ছেন পথচারীরা।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, বারবার অভিযোগ করেও সড়ক ও জনপথ বিভাগকে নড়ানো যায়নি। সংবাদপত্রে প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে, মানববন্ধন হয়েছে। কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

নাভারন বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুস সবুর বলেন, এক সময় এ গাছগুলো ছায়া দিত, এখন মনে হয় গিলে খাবে। গত সপ্তাহেই একটি শুকনো ডাল হঠাৎ ভেঙে পড়ে এক মোটরসাইকেল আরোহী সামান্যর জন্য বেঁচে যান।

আরো পড়ুন: ৪ লাখ শিক্ষক-কর্মচারীর দেখভালে ১৪ কর্মকর্তা, সেবা পেতে ভোগান্তি

নাভারন কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম আব্দুস সামাদ কাসেমী বলেন, নামাজের সময় রাস্তার পাশের গাছ থেকে পড়ে যাওয়া ডাল মসজিদের লোকজনের ওপরও পড়েছে একাধিকবার।

স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রশ্ন, প্রাণহানি ঘটার আগে কেন সিস্টেম নড়েচড়ে বসে না? প্রশাসনের এ উদাসীনতায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা। তারা বলছেন, এখনই যদি এসব গাছ অপসারণ না করা হয়, তাহলে ভবিষ্যতে তার দায় কে নেবে?

এ বিষয়ে যশোর জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার এম এ মঞ্জু বলেন, ‘আমাদের পক্ষে কিছু করা সম্ভব নয়, অনুমোদনের অপেক্ষায় আছি।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence